রােববার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬ প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চিত্রনায়ক ফারুক (আকবর হোসেন পাঠান ফারুক) এবং চলচ্চিত্র নায়িকা ববিতা (ফরিদা আখতার ববিতা) অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন।
চঞ্চল চৌধুরী ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এবং নুসরাত ইমরোজ তিশা ‘অস্তিত্ব’ চলচ্চিত্রের জন্য এবং কুসুম সিকদার ‘শঙ্খচিল’ চলচ্চিত্রের জন্য যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আজীবন সন্মাননা অর্জনকারী চিত্রনায়ক ফারুক এবং চিত্রনায়িকা ববিতা তাঁদের অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃব্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে এ-অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ এবং তথ্য সচিব মো. আব্দুল মালেক।
মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা বৃন্দ, শিল্পী, কবি, সহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী সহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ এবং চলচ্চিত্র শিল্পের সর্বস্তরের কলা-কুশলী এবং কুশীলববৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘অজ্ঞাতনামা’র জন্য ফরিদুর রেজা সাগর, ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের জন্য অমিতাভ রেজা চৌধুরী শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন।
তৌকির আহমেদ ‘অজ্ঞাতনামা’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার, রাশেদ জামান শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ শিল্প-নির্দেশক হিসেবে উত্তম গুহ, শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে গাজী মাজহারুল আনোয়ার, শ্রেষ্ঠ সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালকের আলাদা দুটি বিভাগে ইমন সাহা এবং শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে মেহের আফরোজ শাওন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
শ্রেষ্ঠ খল-অভিনেতা হিসেবে শহীদুজ্জামান সেলিম, সেরা অভিনেতা পার্শ্বচরিত্রের জন্য যৌথভাবে আলিরাজ ও ফজলুর রহমান বাবু এবং তানিয়া আহমেদ সেরা পার্শ্বচরিত্রের পুরস্কার লাভ করেন।
পরে চিত্রনায়ক ফেরদৌস এবং চিত্রনায়িকা পুর্ণিমার উপস্থাপনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।