loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী


পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

মহাবিশ্বের বিবর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ও নতুন গ্রহ আবিষ্কারের জন্য এবার পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। এঁরা হলেন জেম্স পিবল্স, মিশেল মায়োর (৭৭) ও (৮৪) দিদিয়ের কোয়েলোজ (৫৩)। পিবল্সের গবেষণা মহাবিশ্বের বিবর্তন ও বিগ ব্যাং তত্ত্ব নিয়ে। মায়োর ও কোয়েলোজ পৃথিবীর সৌরজগতের বাইরে গ্রহের সন্ধান দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে এক অনুষ্ঠানে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী হিসেবে এই তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে দি রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্স। ঘোষণা অনুযায়ী, পুরস্কার মূল্যের অর্ধেক পাচ্ছেন পিবল্স ও বাকি অর্ধেক মায়োর ও কোয়েলোজের মধ্যে সমান ভাগ করে দেয়া হবে। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেম্স পিবল্স ফিজিক্যাল কসমোলোজি বা সৃষ্টিতত্ত্বের উপর তাঁর তাত্ত্বিক গবেষণার স্বীকৃতি পেলেন। প্রায় দুই দশক ধরে তাঁর গবেষণা মহাবিশ্বকে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বুঝতে সাহায্য করেছে। তাঁর তত্ত্ব মহাবিশ্বের গঠন, বিবর্তন ও ইতিহাস, এমনকি বিগ ব্যাং বিষয়ে আরও নির্ভুলভাবে বুঝতে কাজে লেগেছে।

জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিশেল মায়োর ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দিদিয়ের কোয়েলোজ যৌথভাবে সৌরজগতের বাইরে গ্রহের অনুসন্ধানে নেমেছিলেন। এই গবেষণায় শেষ পর্যন্ত তাঁরা এমন একটি গ্রহ খুঁজে পেয়েছেন - যা সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাসে এটিই প্রথম এ-ধরণের আবিষ্কার।

মায়োর ও কোয়েলোজ দক্ষিণ ফ্রান্সের হাউট প্রদেশের অবজারভেটরি থেকে এই অনুসন্ধান চালান। ১৯৯৫ সালে তাঁরা সৌরজগতের বাইরে পৃথিবী থেকে ৫০ আলোকবর্ষ দূরে একটি গ্রহ আবিষ্কার করেন। ওই গ্রহটির নাম দেয়া হয় ‘৫১ পেগাসি বি’। গ্রহটি আমাদের সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির সমান। আমাদের মিল্কিওয়েতে ছায়াপথে সেটিও সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছিল।

এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের পর থেকে মিল্কিওয়ে ছায়াপথে এখন পর্যন্ত প্রায় চার হাজার গ্রহ খুঁজে পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

পুরস্কার ঘোষণা উপলক্ষে নোবেল কমিটি বিবৃতিতে বলেছে, এ-বছর জেমস পিবল্স, মিশেল মায়োর ও দিদিয়ের কোয়েলোজের গবেষণার ফলাফল, মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের প্রচলিত ধারণাই পাল্টে দিয়েছে। পিবল্সের গবেষণা আমাদের বুঝতে সাহায্য করেছে, বিগ ব্যাংয়ের পরে মহাবিশ্ব কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে। আর মায়োর ও কোয়েলোজের গবেষণা মহাবিশ্বের সৌরজগতের বাইরের গ্রহগুলো সম্পর্কে জানতে সাহায্য করেছে।

Loading...