loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা


প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা

মহালয়ায় দেবী দুর্গা পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন। গতকাল বিজয়া দশমীর দিন আবার মর্ত্যলোক থেকে প্রস্থান করেন। ভক্তরা হাসিমুখে দেবী মাকে বিদায় জানাতে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। বিসর্জনের আগ পর্যন্ত তাঁরা একে-অপরকে সিঁদুরে রাঙান, নাচ-গান করেন - যেন সারা বছর এমন আনন্দে কাটে। সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মা দুর্গা তাঁর সন্তান কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীসহ কৈলাসে ফিরে গেছেন। ধরণীতে তিনি আবার আসবেন এক বছর পরে। পঞ্জিকা মতে, এবার মা কৈলাস থেকে বাবার বাড়ি বসুন্ধরায় এসেছিলেন ঘোড়ায়, ফিরেও গেছেন ঘোড়ায় চড়ে।

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) শেষ হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যদায় দেশব্যাপী ৩১ হাজারেরও বেশি পূজামন্ডপে পূজা-অর্চণা, শ্রদ্ধঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে দেবী-দূর্গার ভক্তরা পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করেন।

সার্বজনীন এই উৎসবের প্রতিদিনই সনাতন ধর্মের সকল বয়সের নারী-পুরুষ মন্ডপগুলোতে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন। পাশাপাশি দূর্গতিনাশিনী দেবীদূর্গার কৃপা লাভের আশায় আরাধনা করেছেন তাঁরা।

প্রতিবারের মতো এ-বছরও দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। প্রতিটি পূজামন্ডপে বিপুলসংখ্যক আনসার, ব্যাটালিয়ান পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়; বসানো হয়েছিল মেটাল ডিটেক্টর ও ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা (সিসিটিভি)। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিন মঙ্গলবার ছিল বিজয়া দশমী। উমার (দেবীদূর্গা) ফিরে যাওয়ার দিন। ‘বোধন’-এ কৈলাস থেকে শরতের পঞ্চম তিথিতে ঘোড়ায় চড়ে উমা আসেন পিতৃগৃহে। পাঁচদিন পরে দশমী তিথিতে আবার ফিরে যান কৈলাস শৃঙ্গে।

মঙ্গলবার দিন শেষে দেবী-দুর্গার বিদায়বেলায় আনন্দ-বেদনার মিশ্র এক অনুভূতিতে ‘মা দূর্গা’র ভক্তদের হৃদয় সিক্ত করে তোলে। এদিন সকাল ১০টার মধ্যে দশমীবিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন দেয়া হয়। দশমীতে বিভিন্ন পূজামন্ডপে সিঁন্দুর খেলায় মেতে উঠেন ‘মা দুর্গা’ ভক্তরা।

বিকেল চারটার দিকে প্রতিমা বিসর্জনের উদ্দেশ্যে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গন থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে বিজয়া শোভাযাত্রা বের হয়।

এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন পূজামন্ডপ থেকে ভক্তরা জমা হতে থাকেন পুরান ঢাকার পলাশীর মোড়ে। সেখান থেকে সম্মিলিতভাবে মন্ত্রচ্চারণ ও পূজা-অর্চনার মধ্যদিয়ে শুরু হয় বিজয়ার শোভাযাত্রা।

ঢাক-কাশরীর বাদ্যের তালে-তালে শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গোধুলিলগ্নে সদরঘাটের ওয়াইজঘাটের বুড়িগঙ্গা নদী তীরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে রাজধানীর বিভিন্ন মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এছাড়াও রাজধানীর আশেপাশের নদ-নদীগুলোতেও (বালু, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা) প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামে প্রতিমা বিসর্জনের সবচেয়ে বড় আয়োজন ছিল পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুর থেকে সেখানে মানুষের ঢল নামে। ঠেলাগাড়ি, ট্রাক, ভ্যান ও পিকআপে করে নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিমা নিয়ে আসা হয় পতেঙ্গা অভিমুখে। বিকেলে জনসমুদ্রে পরিণত হয় পতেঙ্গা সৈকত এলাকা। একই দুশ্য ছিল কাট্টলী সমুদ্র সৈকত ও ফিরিঙ্গিবাজার অভয়মিত্র ঘাট এলাকায়। প্রতিমা বিসর্জনের সময় অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এদিন সন্ধ্যার পরেও বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

Loading...