গত বছর এই দিনে (১৮ অক্টোবর) না-ফেরার দেশে চলে গেছেন বাংলাদেশের রক্ লেজেন্ড আইয়ুব বাচ্চু। ‘সোল্স’ ব্যান্ড ছেড়ে ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল তিনি গড়ে তুলেছিলেন ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’ - পরে যা পরিবর্তিত হয়েছিল ‘লাভ রান্স ব্লাইন্ড’ নামে; দু’টিরই সংক্ষিপ্ত রূপ - এল আর বি । এরপরের সবটুকুই এদেশের সঙ্গীত-জগতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।
১৯৯২ সাল থেকে শুরু ব্যান্ড ও একক অ্যালবাম প্রকাশ। এল আর বি ও আইয়ুব বাচ্চুর গানের সংখ্যা সবমিলিয়ে তিন শতাধিক হবে। আর কনসার্ট বা লাইভ শো করেছেন প্রতি বছরে দু’শোর বেশি। সুতরাং, বলাই বাহুল্য, এ-দেশের সঙ্গীতে তাঁর অবদান ও প্রভাব কতটুকু।
আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটার (লিড) বাদক, সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক। এ-দেশে বুহু নামীদামী গায়ক-গায়িকা তৈরী হয়েছে তাঁর হাত ধরে।
অসুস্থ ছিলেন তিনি অনেকদিন ধরেই। কিন্তু গান-পাগল এই মানুষটিকে আটকাতে পারেনি কোনো কিছুই। ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবরও তিনি লাইভ শো করেছেন। ঢাকার বাইরে অনুষ্ঠিত সেই কনসার্ট থেকে বাসায় ফিরেছিলেন নিরাপদেই। কিন্তু পরেরদিন সকালে তাঁর শরীর আর বাধ মানেনি। নিজের বাসায় হঠাৎ ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নেয়া হয় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে পৌঁছানোর আগে গাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন বলে চিকিৎসকেরা সাংবাদিকদের জানান।
আজ আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে ঢাকা ও তাঁর জন্মস্থান চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। অবশ্য বছরজুড়েই তাঁকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন দেশ-বিদেশে থাকা তাঁর অগণিত ভক্ত-অনুরাগীরা।