কানাডায় সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশটির পার্লামেন্ট হাউস অফ কমন্স-এ ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি আবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে গতবারের মতো পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন সরকারের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকছে না বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংবাদমাধ্যম কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (সিবিসি)।
স্থানীয় সময় সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোটগ্রহণ শেষে পাওয়া ফলের ভিত্তিতে লিবারেল পার্টির জয় প্রায় নিশ্চিত হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক ফল পেতে আরও সময় লাগবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ শেষের পরপরই ট্রুডো ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির অ্যান্ড্রু শিয়ারের মধ্যে শক্ত লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এরপর কম ব্যবধান রেখে এগিয়ে যায় লিবারেল পার্টি।
প্রাথমিক ফলাফলে জানা গেছে, ৩০৪টি ইলেকটোরাল এলাকার মধ্যে লিবারেল পার্টি পেয়েছে ১৫৬টি আসন। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি। সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন নিশ্চিত করতে ট্রুডোর ১৭০টি আসন দরকার ছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কানাডার হাউস অফ কমন্স-এ ৩৩৮ আসনে গতবারের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে না রাখতে পারায় গত মেয়াদের তুলনায় বেশ দুর্বল হয়ে পড়বে লিবারেল পার্টির সরকার। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন আইন পাস করতে অন্য দলগুলোকে সঙ্গে নিতে পারে তাঁরা।
২০১৫ সালে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করেন ট্রুডো। সে-সময় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই, কানাডাকে শরণার্থীবান্ধব করা, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা আনাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নাগরিকদের। সারাবিশ্বে একজন গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবেও জনপ্রিয়তা পান এই নেতা। তবে ক্ষমতার মেয়াদের শেষের দিকে এসে বিতর্কে জড়িয়ে বেশ কিছুটা সুনাম হারিয়েছিলেন তিনি।