loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

ঢাকায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’ ১৬-১৮ জানুয়ারি


ঢাকায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’ ১৬-১৮ জানুয়ারি

আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২০’। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে ডিজিটাল-প্রযুক্তি খাতের সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের নিয়ে এই মেলা চলবে ১৬-১৮ জানুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। 

মেলার মূল প্রতিপাদ্য - ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় প্রযুক্তির মহাসড়ক’। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ ১৬ জানুয়ারি মেলা উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক তৈরির অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা এবং পরিবর্তিত বিশ্বে নতুন সভ্যতার রূপান্তরে আইওটি, রোবটিক্স, বিগডেটা, ব্লকচেইন প্রযুক্তি, ফাইভ জি‘র বিস্ময়কর প্রভাব প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নিয়ে বসবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’।

এই মেলায় প্রযুক্তির বিস্ময়কর সংস্করণ ফাইভ জি প্রদর্শন করা হবে। ডিজিটাল-প্রযুক্তির উদ্ভাবন প্রদর্শন, উপযোগী মানবসম্পদ সৃষ্টি, ডিজিটাল প্রযুক্তির আধুনিক সংস্করণের সাথে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’র অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ-বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল প্রযুুক্তি ও তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপনের জন্য কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ অপরিহার্য। ডিজিটাল সংযুক্তি হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির অন্যতম ভিত্তি। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং জনগণের জন্য টেলিযোগাযোগ সেবাকে সহজলভ্য করার মাধ্যমে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের দিকনির্দেশনায় সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথ প্রশস্ত করেছে।

ডিজিটাল-কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ গত এগারো বছরে প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে শিল্পোন্নত দেশের সাথে সমান্তরালে চলার সক্ষমতা অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পৃথিবী দেখছে রূপান্তরিত এক বাংলাদেশ।

ডিজিটাল-প্রযুক্তি খাতকে ঘিরে দেশে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে ব্যবসা, বাড়ছে রপ্তানি-আয়, সেবানির্ভর প্রতিষ্ঠান ও সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থানের। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি গত ১১ বছরে বাংলাদেশের গন্ডি ছাড়িয়ে ইংল্যান্ড, ভারত, মালদ্বীপ ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের দেশে দেশে উদ্ভাসিত হয়েছে - বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুকরণীয় হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বের জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা।

মন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন আরও বেগবান করার জন্য দেশের মেধাবী তরুণ-সমাজকে উপযোগী করে তৈরি এবং এ-বিষয়ে তাঁদের চেতনা জাগ্রত করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এই মেলায় ৩৫ থেকে ৪০টি আইএসপি প্রতিষ্ঠান, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক ক্যাবলে ল্যান্ডফোনের লাইন, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ, মোবাইল অ্যাপ্স, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রদর্শন করা হবে। এছাড়াও ওয়ালটন, স্যামসাং, সিম্ফনির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁদের উৎপাদিত পণ্য দেখাবে।

দেশি সফ্টওয়্যার কোম্পানিগুলো তাঁদের তৈরি সফ্টওয়্যার ও সেবা উপস্থাপন করবে। টেলিকম অপারেটরগুলো ভয়েস, ইন্টারনেট ও মূল্য সংযোজিত সেবা (ভ্যাস) প্রদর্শন করবে।

এছাড়া জেডটিই, হুয়াওয়ে, নোকিয়া, এরিকসন ফাইভ জি ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। এর ব্যবহার উপযোগিতা দেখাবে লাইভ অনুষ্ঠানসহ। মেলায় শিশুদের প্রোগ্রামিং ও রোবটিক্স শিক্ষা, টেলিমেডিসিন ও টেলিকম বিভাগের প্রতিষ্ঠানসমূহের সেবা প্রদর্শন করা হবে।

মেলায় ডিজিটাল-উদ্যোক্তা সম্মেলন, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ছাড়াও ১৩টি সেমিনারের মাধ্যমে মন্ত্রী, দেশি ও বিদেশি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ বক্তারা বর্তমানের প্রযুক্তি ও আগামীদিনে প্রযুক্তির গন্তব্য নিয়ে কথা বলবেন। ট্যালেন্ট গ্যাপ, ডিজিটাল অর্থনীতি, ডিজিটাল গ্রোথ, স্মার্ট সিটি, এসডিজির অর্জন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় ১০০টি স্টল, মিনি প্যাভিলিয়ন ও প্যাভিলিয়ন থাকবে। এতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরা হবে। 

মেলায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পৃথক কর্নার থাকবে। সেই কর্নারে প্রযুক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনী তুলে ধরা হবে।

Loading...