রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব (ফোরআইআর) এবং সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও সংশ্লিষ্ট অন্যদেরকে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বুধবার (২২ জানুয়ারি) নগরীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ছয় দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন অ্যান্ড প্ল্যানিং ল্যাব’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বলেন, “বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (ফোরআইআর) ও সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলা করা। তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমাদের দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ তৈরি করতে হবে।”
রাষ্ট্রপতি বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার বাস্তবে রূপ দিতে ই-গভর্নেন্স কোর্স চালুসহ ‘ইন্টিগ্রেটেড ইউনিভার্সিটি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম’ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ইউজিসিসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইন্টিগ্রেটেড ইউনিভার্সিটি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম’ চালু হলে শিক্ষার্থীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে গতিশীলতা আসবে। সৃষ্টি হবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির পরিবেশ।
২০১৮ সালের শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সরাসরি নির্দেশনা, পরামর্শ ও তত্ত্বাবধায়নে সকল মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০২১ সাল পর্যন্ত ‘ডিজিটাল সার্ভিস বাস্তবায়ন পরিকল্পনা’ তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে অল্প সময়ের মধ্যে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
গত ১৬ জানুয়ারি গণপূর্ত অধিদপ্তরে শুরু হওয়া ছয় দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন অ্যান্ড প্ল্যানিং ল্যাব’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ডিজিটাল সার্ভিস এক্সিলারেটর, এটুআই ও আইসিটি বিভাগের সহায়তায় এই অনুষ্ঠানের অয়োজন করে।
তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এম.পি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি, রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান, আইসিটি ডিভিশনের সিনিয়র সচিব, এনএম জিয়াউল আলম, এটুআই-এর ফরহাদ জাহিদ শেখ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বঙ্গভবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিব, গবেষক এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।