loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিততে পারেনি টাইগাররা


প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিততে পারেনি টাইগাররা

প্রথম টি-টোয়েন্টি, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি
গাদ্দাফি স্টেডিয়াম, লাহোর, পাকিস্তান

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪১/৫ (নাঈম ৪৩, তামিম ৩৯; আফ্রিদি ১/২৩, হারিস ১/৩২, শাদাব ১/২৬)
পাকিস্তান: ১৯.৩ ওভারে ১৪২/৫ (মালিক ৫৮*, আহসান ৩৬; শফিউল ২/২৭, মোস্তাফিজ  ১/৪০, আল-আমিন ১/১৮, আমিনুল ১/২৮)
ফলাফল: পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: শোয়েব মালিক (পাকিস্তান)
সিরিজ: পাকিস্তান ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে

টি-টোয়েন্টি বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ দলের বিপক্ষে মাত্র ১৪১ রান, সেটাও তাঁদেরই মাটিতে। তারপরও বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ম্যাচটি শেষ ওভার পর্যন্ত গিয়েছিল। কিন্তু আফসোস হয়ে রইলো ব্যাটিংটাই। অন্যদিকে, শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ শোয়েব মালিকের ব্যাটিংয়ে ভর করে ম্যাচ জিতলো পাকিস্তান।

লাহোরে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান সংগ্রহ করেছিল টাইগাররা। জবাবে পাঁচ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে তাঁরা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।

পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হানেন শফিউল ইসলাম। স্বাগতিকদের ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে অধিনায়ক বাবর আজমকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন এই পেসার। যদিও বাবর রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে।

এরপর মোহাম্মদ হাফিজ ও অভিষিক্ত আহসান আলী ইনিংস সাজানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে নিজের দ্বিতীয় ও পাকিস্তানের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে অভিজ্ঞ হাফিজকে বিদায় করে জুটি ভেঙেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আমিনুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে হাফিজের ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ বলে ১৭ রান।

হাফিজের বিদায়ের পরে হাল ধরেন মালিক ও আহসান। তবে আহসানকে বেশি দূর যেতে দেননি আমিনুল। এরপর ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মালিক। এই জুটিতে এসেছে ২৬ রান।

দলের ১১৭ রানে শফিউলের বলে ইফতিখার যখন বিদায় নেন, তখনও জিততে ২৪ রান দরকার পাকিস্তানের। সেসময় কাণ্ডারি হয়ে ক্রিজে ছিলেন মালিক। মাঝে পাঁচ রান করে আল-আমিন হোসেনের বলে ইমাদ (৬) বিদায় নেন।

যাহোক, অভিজ্ঞতার ধারে অর্ধশত রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মালিক। তিন বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করার সময় তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫৮ রানে। ৪৫ বল দীর্ঘ এই ইনিংসটি পাঁচটি চারে সাজানো। মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত পাঁচ রান করেছেন।

বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন শফিউল। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন মোস্তাফিজুর, আল-আমিন ও আমিনুল।

শুক্রবার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরুতে বুঝেশুনে খেলতে গিয়ে ভালো সংগ্রহ গড়তে পারেনি টাইগাররা। তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈমের সূচনা জুটিতে ভালো রান এলেও পরে ওই হালকা মেজাজের ব্যাটিংয়ের গতি আর বাড়াতে পারেননি বাকিরা। ফলে পাঁচ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সামনে ১৪২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পেরেছে সফরকারীরা।

এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে নতুন রেকর্ড গড়েছেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক এতদিন ছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই রেকর্ড এখন তামিমের। ৭৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ ১৫৬৭ রান। শুক্রবার ১৪ রানে ব্যাট করার সময় সাকিবকে ছাড়িয়ে গেছেন তামিম। এজন্য সাকিবের চেয়ে চার ম্যাচ কম খেলেছেন তিনি।

নাঈমের সঙ্গে ৭১ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে রান আউট হয়ে বিদায় নেন তামিম। এর আগে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ বলে ৩৯ রান। চারটি চার ও এক ছক্কায় সাজানো ছিল এই ইনিংস।

তামিমের বিদায়ের পরে লিটন ও নাঈম মিলে রানের গতি সচল রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বোলার ইমাদের সরাসরি থ্রোয়ে বিদায় নেন লিটন। এক বল পরেই ৪১ বলে ৪৩ রান করা নাঈমও বিদায় নেন। তিনটি চার ও দুই ছক্কা ছিল এই ইনিংসে।

নাঈমের বিদায়ের পরে বাংলাদেশের রানের চাকা অনেকটাই থমকে যায়। এর মধ্যে আফিফ হোসেন (৯) বোল্ড হয়ে পেসার হারিস রউফকে অভিষেক উইকেট উপহার দেন। এরপর শাহিন শাহ আফ্রিদির বল সৌম্য সরকারের (৭) স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেয়।

শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ’র হালকা ঝলকে মাঝারি সংগ্রহ করতে পেরেছে টাইগাররা। অধিনায়ক ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে এক ওভারে এসেছে ১৩ রান। ১৪ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। মিঠুনও অপরাজিত পাঁচ রান করেছেন।

পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও শাদাব খান একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

Loading...