loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • মিলানকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ আগেই ইন্টারের ২০তম শিরোপা জয়

  • লেভাকুজেনের ৪৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড

  • ফুলহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুল

  • তাইওয়ানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

  • প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে


ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

যথাযথ নিরাপত্তা, উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসব আমেজে আজ ঢাকা-উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল আটটা থেকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রিটানিং অফিসার আবুল কাশেম ও মো. আব্দুল বাতেন। বিরতিহীনভাবে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা জানান, নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কারও সহায়ক না, কারও পক্ষে বা বিপক্ষেও না। সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে আইন অনুযায়ী কমিশন দায়িত্ব পালন করছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর গণমাধ্যমকেকে বলেন, ভোটার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

টানা ২০ দিন প্রচারণা শেষে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় সকল প্রকার প্রচারণা শেষ হয়েছে। ভোট উপলক্ষে রাজধানীতে ইতোমধ্যে মটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হয়েছে। শুক্রবার রাত ১২টা থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত নৌ চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ ও আনসার নিয়োজিত রয়েছেন এবং বিজিবি, র‌্যাব ও নৌ-পুলিশ নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন বাহিনী গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভোটের দায়িত্বে নিজ নিজ সদস্যদের নির্দিষ্ট জায়গায় মোতায়েন করেছে।

নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮ কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৫৯৭টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ। আর সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে ৮৭১টি। নিরাপত্তার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ছয় জন অস্ত্রসহ পুলিশ (একজন এসআই, একজন এএসআই ও চারজন কনস্টেবল), দুই জন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার এবং ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য (চারজন নারী ও ছয়জন পুরুষ) মোতায়েন রয়েছে। 

সাধারণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রসহ চারজন পুলিশ (এসআই/এএসআই একজন ও তিনজন কনস্টেবল),দুইজন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার, ১০ জন লাঠিসহ সমন্বিত আনসার/ভিডিপি সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। এই হিসেবে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত থাকছেন আনসার ও পুলিশের ৪২ হাজার ৬৮২ জন সদস্য। ভোটের এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ৭৫ প্লাটুন বিজিবির ২ হাজার ২৫০ জন জোয়ান নিয়োজিত রয়েছেন।

এছাড়া পুলিশ ও এপিবিএন সমন্বয়ে ১২৪টি ভ্রাম্যমাণ ও ৪৩টি স্ট্রাইকিং টিম, র‌্যাবের ১২৯টি টিম নিয়োজিত রয়েছে। অর্থাৎ র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন, স্ট্রাইকিং ও ভ্রাম্যমাণ টিম মিলিয়ে প্রায় চার হাজারের মতো ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। সব মিলিয়ে এই নির্বাচনে ৫০ হাজারের মতো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক যেখানে যেমন দরকার - সেই অনুযায়ী যেকোনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়োজিত করার নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে।

নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন ও অপরাধের বিচার কাজের জন্য দুই সিটিতে ১২৯ জন নির্বাহী হাকিম ও ৬৪ জন বিচারিক হাকিম নিয়োগ করা হয়েছে। ঢাকা-উত্তর সিটিতে ৫৪ জন ও দক্ষিণ সিটিতে ৭৫ জন নির্বাহী হাকিম ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকবেন। এছাড়া উত্তর-সিটিতে ২৭ জন ও দক্ষিণে ৩৭ জন বিচারিক হাকিম ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে দেশবাসী ও বিদেশিরা ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এই নির্বাচনে মোট ২২ প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ১৩ জন স্থানীয় পর্যবেক্ষক কাজ করছেন। এঁদের মধ্যে উত্তরে ৫০৩, দক্ষিণে ৪৫৭ এবং কেন্দ্রীয়ভাবে ৫৩ পর্যবেক্ষক পর্যবেক্ষণ করছেন। বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করছেন মোট ৭৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৪৬ বিদেশি এবং ২৮ বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন।

Loading...