loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারালো টাইগাররা


জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারালো টাইগাররা

একমাত্র টেস্ট, শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা

সংক্ষিপ্ত স্কোর

জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ২৬৫
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫৬০/৬ (ইনিংস ঘোষণা)
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ৫৭.৩ ওভারে ১৮৯ (আরভিন ৪৩, রাজা ৩৭, মারুমা ৪১, চাকাভ্যা ১৮; নাঈম ৫/৮২, তাইজুল ৪/৭৮)

ফলাফল: বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: মুশফিকুর রহিম

আসল কাজটা আগের দিনই এগিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। সকালে নেমে পরপর দুই উইকেট নিয়ে নেওয়ায় প্রথম সেশনেই জয়ের সুবাস আসছিল। অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন, সিকান্দার রাজা প্রমুখ প্রতিরোধের চেষ্টা করে পরাজয়টাই প্রলম্বিত করতে পেরেছেন; পারেননি নিজেদের অনিবার্য পরিণতি বদলাতে। প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও নাঈম হাসানের ঘূর্ণিবল সামলাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। তাঁর সঙ্গে তাইজুল ইসলামও জ্বলে উঠায় খেলা শেষ হয়েছে দ্রুত। টানা ছয় টেস্টে ভরাডুবির পরে অবশেষে সাদা জার্সিতে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ দল।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চারদিনে একমাত্র টেস্টের ফয়সালা হয়েছে। জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টেস্টে বাংলাদেশের এটি চতুর্দশ জয় - যার সাতটিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

এই ম্যাচের চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে ছিল বৃষ্টির শঙ্কা। ম্যাচের যা অবস্থা ছিল, তাতে চতুর্থ দিনে শুধু বৈরী আবহাওয়াই টেস্ট নিতে পারতো। ফাল্গুনের গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়েছে এদিন সকাল থেকেই। যাহােক, সেই বৃষ্টি বাধা হতে পারেনি মুমিনুলদের জন্য।

সর্বশেষ ছয় টেস্টের পাঁচটাই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ; পরাজিত হয়েছিল ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও। তাই কোণঠাসা টাইগাররা খুঁজছিল একটু স্বস্তি। এই ম্যাচ দিয়ে সেটা হলো। ব্যাটসম্যানরা ভালো রান পেয়েছেন, পেসারদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ভরসা, স্পিনাররা দেখিয়েছেন নৈপুণ্য।

এবার নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো কোনো প্রতিপক্ষকে ইনিংস ব্যবধানে হারাতে পারলো টাইগাররা। এ-ম্যাচে বাংলাদেশের বড় অর্জন - মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি, লম্বা সময়ের রান-খরা কাটিয়ে মুমিনুল হকের শতরান।

প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২৬৫ রানে গুড়িয়ে দিতে অবদান রেখেছিলেন পেসার আবু জায়েদ রাহি ও অফ-স্পিনার নাঈম। পরে রানের ফুলঝুরি দেখা গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। মুমিনুল করেছেন ১৩২, মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে চোখ ধাঁধানো অপরাজিত ২০৩। অর্ধশত পেরিয়ে ছন্দে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন নাজমুল হাসান শান্ত, লিটন দাসরা।

দুই উইকেটে নয় রান নিয়ে নেমে ছয় রান যোগ করেই জিম্বাবুয়ে হারায় কেভিন কাসুজাকে। তাইজুল ইসলামের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আগের দিনের শেষ বিকেলের নায়ক নাঈম বল হাতে নিয়েই পেয়েছেন উইকেট। তাঁর বলে স্লগ সুইপ করে ক্যাচ উঠিয়ে ফেরেন ব্রেন্ডন টেইলর। এরপর পঞ্চম উইকেটে সিকান্দার ও আর্ভিনের ৬০ রানের জুটি। ইনিংস হার এড়াতে এই জুটিই ছিল সফরকারী দলের শেষ ভরসা।

দারুণ ফিল্ডিংয়ে জুটি ভেঙেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল। ৪৩ করা আরভিন আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ টেকেননি সিকান্দার। তাইজুলের বলে কাভারে অনেকখানি লাফিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে ফেলেন মুশফিক।

ভেঙে যাওয়া জিম্বাবুয়ে এরপর দ্রুত উইকেট হারিয়েছে। টিমসেন মারুমা ও রেজিস চাকাভ্যার ছোট জুটি ম্যাচের সময়টাই সামান্য বাড়িয়েছে। থিতু হয়ে তাঁরা টিকতে পারেননি নাঈম-তাইজুলের সামনে।

প্রথম ইনিংসে সম্ভাবনা জাগিয়েও পাঁচ উইকেট না-পাওয়া নাঈম হাসান এবার মিটিয়েছেন আফসােস। আইন্সলে এনডিলোভুকে শিকার করে হয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পাঁচ উইকেটের মালিক। শেষ ব্যাটসম্যানকে আউট করে তাইজুলও হন চার উইকেটের অধিকারী।

Loading...