loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • মিলানকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ আগেই ইন্টারের ২০তম শিরোপা জয়

  • লেভাকুজেনের ৪৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড

  • ফুলহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুল

  • তাইওয়ানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

  • প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা

জনগণকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতেই মুজিববর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস: প্রধানমন্ত্রী


জনগণকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতেই মুজিববর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচি এমনভাবে উদযাপন করা হবে যাতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে জনগণ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে না পড়ে। তিনি বলেন, ‘প্রাণঘাতী ভাইরাস যেহেতু বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, কাজেই জনগণের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যের প্রতি মনোনিবেশ করা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। সে-কারণেই আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কর্মসূচি পুনরায় সাজিয়েছি।’ প্রধানমন্ত্রী সিওভিআইডি-১৯ নামক প্রাণঘাতী ভাইরাসের কারণে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ারও আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ যেন ঝুঁকির মুখে না পড়ে, তাই মুজিববর্ষ উদযাপনে সব কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। বলেন, বিশ্বজুড়ে সমস্যার কারণে আমন্ত্রিত অতিথিরাও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না। জনগণের কল্যাণ আগে উদযাপন পরে। তাই আনুষ্ঠানিকতা করা হবে জনগণকে ঝুঁকিমুক্ত রেখে। সোমবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় গণভবনে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শেষে এ-কথা জানান তিনি। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর পাশাপাশি দেশের প্রত্যেক জেলার হাসপাতালগুলো করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ঝুঁকি কমাতে কিছু দেশের সাথে অনলাইন ভিসা প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়েছে। অহেতুক মাস্ক পরা ও বেশি বেশি মাস্ক-স্যানিটাইজার না কেনারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা ঢাকার তিনটি হাসপাতাল ও জেলা-উপজেলার হাসপাতাগুলো প্রস্তুত রেখেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কাছে জনগণের কল্যাণ সবচেয়ে বড়। আমরা উদযাপন করবো, কিন্তু উদযাপনটা একটু ভিন্নভাবে হবে। লোকসমাগম যাতে কম হয়, সেদিকে দৃষ্টি রেখে উদযাপন করবো। আমরা চাই, কোনোভাবে জনগণ যেন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। যেহেতু বিশ্বব্যাপী এটা ছড়িয়েছে, সেখানে দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অহেতুক মাস্ক পরার দরকার নেই। কিন্তু সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। অনেকেই পাগল হয়ে মাস্ক কিনছে। এটা দরকার নেই। শুধু যাঁদের সর্দি-কাশি আছে, তাঁদের সাবধানে থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আমরা বিশাল আকারে করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। যেখানে লাখ লাখ মানুষ জমায়েত হবে। কিন্তু আমরা জমায়েতগুলো বন্ধ করে দিয়েছি। এমনকি ২৬ মার্চ শিশুদের যে অনুষ্ঠান আমরা করি, সেটাও স্থগিত করে দিয়েছি; যাতে কোনোভাবে এটা মানুষের ক্ষতি করতে না পারে। তবে আমরা অন্যান্য কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো। পুষ্পমাল্য অর্পণ ও টুঙ্গিপাড়ায় শিশুদের অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে করবো।’

Loading...