নিজেদের মাঠে প্রথম লেগের ম্যাচেই হেরেছিল টটেনহ্যাম হটস্পার্। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে জিতে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে উত্তরণ ছিল তাই বেশ কঠিন। তা তো হয়ই-নি, এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারেননি তাঁরা। আর বি লাইপজিগের কাছে রীতিমতো ধরাশায়ী হয়েছে ক্লাবটি।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রাতে ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্লাব ফুটবল আসরের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ০-৩ গোলের বড় ব্যবধানে হেরেছেন হোসে মরিনহোর শিষ্যরা। প্রথম লেগে লাইপজিগের কাছে ০-১ গোলে হেরেছিল ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম। ফলে, দুই লেগ মিলিয়ে জার্মান ক্লাবটির জয়ের ব্যবধান ৪-০।
এদিন রেড বুল অ্যারেনায় ম্যাচের ২১ মিনিটের মধ্যেই দুই গোল খেয়েছে টটেনহ্যাম। দশম মিনিটে কনরাড লেইমারের বাড়ানো বল থেকে টিমো ভার্নারের শট স্পার্সের একজন ডিফেন্ডার ফিরিয়ে দেন। এরপর মুক্ত বল পেয়ে মার্সেল সাবিৎজারকে পাস দেন ভার্নার। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন অস্ট্রিয়ান এই ফরোয়ার্ড (১-০)। হাত ছোঁয়ালেও ফেরাতে পারেননি টটেনহ্যাম গোলরক্ষক হুগো লরিস।
উনবিংশ মিনিটে বল জালে পাঠিয়েছিলেন জার্মান স্ট্রাইকার ভার্নার, তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়েছে। তবে ব্যবধান বাড়াতে দুই মিনিটও সময় নেয়নি লাইপজিগ। একবিংশ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে সাবিৎজারকে কাটব্যাক করেন অ্যাঞ্জেলিনো। দারুণ হেডে আবারো বল জালে জড়ান স্বাগতিক দলের অধিনায়ক (২-০)। এবারও লরিসের হাতে লেগে বল জালে যায়।
২৮তম মিনিটে ভার্নারের দারুণ জোরালো শট ফিরিয়ে দেন লরিস। ৪১তম মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল টটেনহ্যামও। জিওভানি লো সোলসোর শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক পিটার গেলাসি।
৭৩তম মিনিটে লুকাস মৌরার কাটব্যাক থেকে ডেলে আলির শটও ধরে ফেলেন গেলাসি।
৮৭তম মিনিটে টটেনহ্যামের জালে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন সাবিৎজারের বদলি নামা এমিল ফোর্সবার্গ। ডি-বক্সে রাখা অ্যাঞ্জেলিনোর কাটব্যাকে প্যাট্রিক স্কিচ শট নিলে টটেনহ্যামের একজন ডিফেন্ডারে পায়ে লেগে বল পেয়ে যান ফোর্সবার্গ। মাঠে নামার পরে প্রথম শটেই লক্ষ্যভেদ করেন তিনি (৩-০)।
এই রাতের অন্য ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়াকে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টা। ম্যাচের চারটি গোলই করেছেন ফরোয়ার্ড জোসিপ ইলিসিচ।
প্রথম লেগে ৪-১ গোলে জিতেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবারই প্রথম নাম লেখানো আটালান্টা। এবার দুই লেগ মিলিয়ে ৮-৪ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠলো ক্লাবটি।