loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে এনসিপির মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

  • ‘আগামী নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো নির্বাচন

  • এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে আটটায় কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে

  • বেনফিকাকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে চেল্সি

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষিত

ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টারে পিএসজি


ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টারে পিএসজি

বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠ থেকে প্রথম লেগের ম্যাচে পরাজিত হয়ে ফিরেছিল ফ্রান্সের ক্লাবটি। ফিরতি লেগের ম্যাচ নিজেদের মাঠে হলেও করোনাভাইরাসের কারণে নেই দর্শক। তার উপর দলের সেরা বেশ কিছু তারকা ইনজুরিতে। নিজেদের মাঠে বেশ চাপেই ছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দলটি দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে হারিয়েছে জার্মানির ক্লাবটিকে। সেই সঙ্গে ২০১৬ সালের পরে কেটেছে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকেট।

নিজেদের মাঠে বুধবার (১১ মার্চ) রাতে ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারায় পিএসজি। প্রথম লেগে ১-২ গোলে হেরেছিল নেইমাররা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছে ফরাসিরা।

এদিন সদ্য ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা দলের অন্যতম সেরা তারকা কিলিয়েন এমবাপেকে শুরু থেকে পায়নি পিএসজি। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণেই ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা। নেইমার ও হুয়ান বেরনাতের গোল প্রথমার্ধেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণ জমাট রেখে লিড ধরে রাখে তাঁরা। তাতেই মিলে যায় কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকেট।

অবশ্য গোল করার প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল ডর্টমুন্ডই। অষ্টম মিনিটে সতীর্থের ডি-বক্সে রাখা ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারলেই গোল পেতে পারতেন এরলিং হ্যালান্ড। উনবিংশ মিনিটে জর্ডান সাঞ্চোর ভলি অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ২৫তম মিনিটে দিনের সেরা সুযোগটা পেয়েছিলেন পিএসজির এডিনসন কাভানি। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া পাসে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন এই উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড। তার শট বারপোস্ট ঘেঁষে বাইরে গেলে সে যাত্রা বেঁচে যায় ডর্টমুন্ড।

সেই সুযোগ কাজে না লাগাতে পারলেও এগিয়ে যেতে খুব বেশিক্ষণ সময় নেয়নি পিএসজি। তিন মিনিট পরে ডি মারিয়ার নেওয়া কর্নার কিক থেকে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে দেন নেইমার (১-০)।

৩৫তম মিনিটে সাঞ্চোর নেওয়া ফ্রিকিক ধরতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি গোলরক্ষক পিএসজি কেইলার নাভাসের। তিন মিনিট পর আরও একটি ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন সাঞ্চো; কিন্তু তাঁর নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন নাভাস। ৪১তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর ভালো সুযোগ ছিল স্বাগতিকদের। থরগান হ্যাজার্ডের নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

যোগ হওয়া সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পিএসজি। ডি মারিয়া বাড়ানো বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন পাবলো সারাবিয়া। শেষ মুহূর্তে হুয়ান বেরনাতের আলতো টোকায় দিক বদলে দিলে ব্যবধান বাড়ায় পিএসজি (২-০)।

৫৩তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারতো পিএসজি। ডি মারিয়ার নেওয়া বাঁকানো ফ্রিকিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক রোমান বুর্কি। ৭৩তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ভালো শট নিয়েছিলেন ডর্টমুন্ডের জুলিও ব্রান্ট। তবে তা অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। চার মিনিট পর ব্রান্টের আরও একটি দূরপাল্লার প্রচেষ্টা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৮৭তম মিনিটে নেইমারকে করা একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে দুই দল। তাতে বড় ধাক্কা খায় ডর্টমুন্ড। লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এমরি চান। নেইমারকে ফাউল করায় প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন, পরে হাতাহাতির কারণে দেখেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। এই সুযোগ থেকে কোনো সুবিধা আদায় করে নিতে না পারলেও লিড ধরে রেখে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে পিএসজি।

Loading...