loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে চিন্তা করছে সরকার


শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে চিন্তা করছে সরকার

সরকার করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজ বন্ধের বিষয়টি আমাদের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনায় আছে। আমাদের ভাবনায়ও আছে। আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, সময় মতো বিষয়টির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।’

ওবায়দুল কাদের রোববার (১৫ মার্চ) ধানমন্ডিস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে মুজিববর্ষ উদাযাপন ঘিরে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ-কথা বলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস আতঙ্ক, উদ্বেগ উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের মানুষের ভেতরেও উদ্বেগ উৎকণ্ঠা রয়েছে। আমাদের জনগণের মধ্যে এ-নিয়ে দুঃশ্চিন্তা আছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৪৯টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। নতুন নতুন দেশ আক্রান্ত হচ্ছে।’

প্রবাসীদের দেশে ফেরা বন্ধের কোনো পরিকল্পনা আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকার থেকে এঁদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। শনিবার থেকে কঠোরভাবে বিষয়টি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে প্লেনের মাধ্যমে আগমন নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করা যায় কি-না - তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেবলমাত্র চীনই দেখছি করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করছে। তাঁরা কিভাবে কন্ট্রোল করতে পারছে - সে-বিষয় শেয়ার করার জন্য আমাদের কাছে তাঁদের একটা চিঠি এসেছে। তাঁরা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত আছে। এ-ধরনের সংক্রমণ এবং বিস্তার রোধ করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা সহানুভূতির হাত প্রসারিত করে চীন চিঠি দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রস্তুত। প্রথম থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। সরকার যেমন প্রস্তুত, আমাদের দলকেও প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশবাসীকে সর্তক করতে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা নেই। যাঁরা সংক্রমিত, তাঁরা বিদেশ থেকে এসেছে।’

পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ নিয়ে কাদের বলেন, ‘পদ্মাসেতু প্রকল্পে চাইনিজকর্মীদের কেউ কেউ ছুটিতে গেছেন, কিন্তু তাঁর সংখ্যা খুব বেশি না। আমাদের এখানে ১ হাজারের মতো চাইনিজ কর্মী কাজ করেন। ছুটিতে গেছেন ২৫০ জন। এঁদের মধ্যে কেউ চলে এসেছেন। আমাদের ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ২৬টি স্প্যান বসে গেছে। আগামী দুইমাস পর্যন্ত যদি এই অবস্থা অব্যাহত থাকে - তাতেও কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হবো না; কাজ যথারীতি এগিয়ে যাবে। এই জুলাই মাসের মধ্যে ৪১টি স্প্যান বসে যাবে। এরপর অন্যান্য কাজ চলবে। ২০২১ সালের জুন মাস আমরা টার্গেট দিয়েছি সেভাবেই কাজ চলছে।’

Loading...