বাংলাদেশে আরও তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে, দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হলো ২০। আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে ইতোপূর্বেই হাসপাতাল ছেড়েছেন এবং এ-পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন একজন। অর্থাৎ, দেশে এখন ১৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (২০ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাসসম্পর্কিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা আক্রান্তদের তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন করে তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত করেছি। এঁদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী এবং আক্রান্তরা সবাই আলাদা পরিবারের সদস্য। আক্রান্ত একজন নারী ও পুরুষের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে এবং অপর একজন পুরুষের বয়স ৭০ বছর। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তিনি আইসিইউতে আছেন।’
ডা. নাসিমা জানিয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্যে একজন ইতালি-ফেরত ও দুইজন বিদেশ-ফেরতদের সংস্পর্শে আক্রান্ত। তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৪ জন এবং আইসোলেশনে রয়েছেন ৩০ জন।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেছেন, তাঁরা এ-পর্যন্ত স্ক্রিনিং করেছেন ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৭৪ জন ব্যক্তিকে এবং গত ২৪ ঘন্টায় স্ক্রিনিং করা হয়েছে ৭ হাজার ২৩৬ জনকে। এ-পর্যন্ত তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আগত স্ক্রিনিংকৃত যাত্রীর সংখ্যা ৩ হাজার ১৬৯। চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিংকৃত যাত্রীর সংখ্যা ২২১। ঢাকা সেনানিবাস ও বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে স্ক্রিনিং করা হয়েছে ৭ হাজার ২৯ জনকে। স্থলবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং করা হয়েছে ৩ হাজার ৮৫৬ জনকে।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘন্টায় আইইডিসিআর-এ কল রিসিভ করা হয়েছে ২ হাজার ৪১৭টি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন হটলাইন ১৬২৬৩-তে কল রিসিভ হয়েছে ২৯ হাজার ৯৬২টি এবং ৩৩৩ নম্বরে কল রিসিভ হয়েছে ১ হাজার ৩২০টি। আইডিসিআর-এ করোনা সংক্রান্ত কল ২ হাজার ২৬৯টি, সেবা গ্রহীতা ৫০ জন।
চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষা বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, চিকিৎসক-নার্সদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তাঁদের জন্য নিরাপত্তা পোশাক হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে।
