বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তায় এ-বছর মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, স্থগিত করা হয়েছে স্বাধীনতা পদক বিতরণ অনুষ্ঠান। গতকাল শনিবার বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
এদিন বিকাল পাঁচটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া নোভেল করোনাভাইরাসে বাংলাদেশেও কয়েকজনের আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরে উদ্ভুত পরিস্থিতি গুরুত্ব পেয়েছে রাষ্ট্র ও সরকার-প্রধানের এদিনের আলোচনায়।
গত ৮ মার্চ প্রথমবারের মতো দেশে করোনা-আক্রান্ত শনাক্তের পরে শনিবার পর্যন্ত এই ভাইরাসসৃষ্ট কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জনে পৌঁছেছে। এ-রোগে মারা গেছেন দু’জন। অন্যদিকে, প্রথম তিনজন আক্রান্তের সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বঙ্গভবনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তাঁরা দু’জনই দেশের জনগণকে এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না-হয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, আলোচনায় জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে এ-বছর ২৬ মার্চ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বঙ্গভবনে অনুষ্ঠেয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া স্বাধীনতা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানও স্থগিত করা হয়।
এর আগে শনিবার ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ভোট দেওয়ার পরেও প্রধানমন্ত্রী আগামীতে জনসমাগমের মতো অনুষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার কথা বলেছিলেন।
“বিশেষ করে ২৬ মার্চ আমাদের পুষ্পমাল্য অর্পণের কথা স্মৃতিসৌধে। আমি আলোচনা করবো। সেটাও আমাদের স্থগিত রাখতে হবে।”
“নিজের মতো করে, আমরা স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাব। কিন্তু এই লোক সমাগমটা আমাদের বন্ধ করে দিতে হবে, যাতে কোনোভাবে এই সংক্রামক ব্যাধি সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে।”