loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • শেষ মুহূর্তের গোলে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

  • আর্সেনালের কাছে পাঁচ গোলে উড়িয়ে গেলো চেল্সি

  • হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • বেপজা অর্থনৈতিক জোনে চীনা কোম্পানির ১৯.৯৭ মি. ডলার বিনিয়োগ

  • কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ

মুক্তি পেয়ে ফিরোজায় উঠলেন খালেদা জিয়া


মুক্তি পেয়ে ফিরোজায় উঠলেন খালেদা জিয়া

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আজ বুধবার (২৫ মার্চ) মুক্তি পেয়েছেন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী থাকার পর বিকেল সোয়া চারটার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে তিনি মুক্তি লাভ করেন।

এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির আদেশ আইজি প্রিজনের কাছে পৌঁছে। সেখান থেকে এটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারের কাছে যায়। কারা কর্তৃপক্ষ এই আদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যান। এরপর তাঁর মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে খালেদা জিয়ার বয়স ও মানবিক দিক বিবেচনা করে সরকার তাঁকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

মুক্তির আগে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল গেটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কারামুক্তির পরে গুলশানে নিজ বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। বিকেলে মুক্তি পাওয়ার পরে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কেবিন থেকে ৪টা ২০ মিনিটে গাড়িতে ওঠানো হয় খালেদা জিয়াকে।

গাড়িটি ৪টা ২৫মিনিটে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের গেট থেকে বের হয়ে আসে। এ-সময় তাঁর গাড়ির সামনে ও পেছনে হাজার-হাজার দলীয় নেতাকর্মী স্লোগান দিতে থাকে। সেজন্য গাড়িতে হাসপাতালের গেট থেকে প্রধান সড়কে আসতে সময় লেগেছে। এরপর গাড়ি চলতে শুরু করলেও হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভিড়ের কারণে কম গতিতে গাড়িয়ে চালিয়ে গুলশানের দিকে রওয়ানা করেন।

করোনাভাইরাসের কারণে রাস্তায় গাড়ি কম থাকলেও দলীয় নেতাকর্মীদের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা পরে গুলশান ২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের এক নম্বর বাড়ির সামনে পৌঁছে। সেখানেও আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার দলীয় নেতাকর্মী। কিন্তু খালেদা জিয়া কারও সঙ্গে কথা না বলে সরাসরি গাড়িতে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন।

গোলাপি রংয়ের শাড়ি পড়া খালেদার চোখে সানগ্লাসটিও ছিল। তিনি হুইল চেয়ার থেকে গাড়িতে বসে বাসায় আসেন। 

খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় আনার জন্য উপস্থিত ছিলেন - বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতিমা, ভাইয়ের ছেলে অভিক ইস্কান্দার, তারেক রহমানের স্ত্রীর বড় বোন শাহিনা জামান খান, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, চেয়ারপার্সনের পিএস আব্দুস সাত্তার, প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

বেগম জিয়ার মুক্তিকে কেন্দ্র করে বিএসএমএমইউ ও গুলশানের বাসভনের সামনে আইন-শৃংখলা বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

পৃথক দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সনকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার। এ-সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়া নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন। তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল মঙ্গলবার তাঁর বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে এ-তথ্য জানান।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। প্রথমে ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে থাকলেও পরে চিকিৎসার জন্য তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বিবিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এর আগে বয়স ও অসুস্থতার কারণে তাঁকে মুক্তি দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে সরকার মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়।

Loading...