loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

ঢাকা এখন নীরব শহর


ঢাকা এখন নীরব শহর

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সবধরনের গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর তাই রাজধানীজুড়ে নেমে এসেছে নীরবতা। রাজধানীর ছোট-বড় সব সড়কই এখন যানবাহন শূন্য। এমনকি পাড়া, মহল্লার রাস্তা, গলিপথেও নেই কোনো রিক্সা বা ছোট যানবাহন। শুধু যানবাহন নয়, সড়কগুলো হয়ে পড়েছে জনশূন্যও। বন্ধ রয়েছে দোকানপাটসহ সব ধরণের প্রতিষ্ঠান।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর মতিঝিল, পুরানা পল্টন, জিরো পয়েন্ট, কাকরাইল, টিকাটুলি, খিলগাঁও, মালিবাগ, টিটিপাড়া, আজিমপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ফার্মগেইট, গুলশান, বনানী ও উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় তেমন কোনো যানবাহন ছিল না বললেই চলে। প্রতিটি সড়কই ছিল যানবাহন ও জনশূন্য।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের যে-দাপট চলছে, বাংলাদেশেও এর আঘাত লেগেছে। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এই ছুটি চলাকালে জনসাধারণকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের নির্দেশনা মেনে সর্বস্তরের মানুষ ঘরে অবস্থান করছেন। জনসাধারণের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে সড়কে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। লঞ্চ, রেল ও বিমান চালচল আগে থেকেই বন্ধ। সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে। রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব জেলায় রাস্তায় লোক চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে, রাজপথ যেন পরিণত হয়েছে বিরানভূমিতে।

সকালে সায়েদাদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, মহাখালি, ফুলবাড়িয়া, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে কোনও বাস ছেড়ে যায়নি। এসব টার্মিনালের শ্রমিকরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। যাঁরা ঢাকায় রয়েছেন - তাঁরা টার্মিনালগুলোতে রান্না করে খাচ্ছেন।

সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস-মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জানান, বৃহস্পতিবার একটি বাসও ছাড়া হয়নি। রাস্তায় কোনো লোকজন নেই। এমন পরিবেশ আর কখনও হয়নি। টার্মিনালের শ্রমিকেরা অলস সময় কাটাচ্ছেন।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত ২৪ মার্চ সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক ভিডিওবার্তায় বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে সবধরণের গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেন। সরকারের এই ঘোষণার পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কোনো ধরণের পরিবহন চলাচল করছে না। নগরীর সড়কগুলোও জনমানবশূন্য।

গত ২৪ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না-দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য যাত্রীবাহী রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সকাল থেকে কমলাপুর স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছাড়েনি। সরকারের ঘোষণা মেনে সব ধরণের যানবাহন বন্ধ রয়েছে। 

রাজধানীর সড়কগুলোর পাশাপাশি মার্কেট, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শহরের পাড়া-মহল্লার দোকানপাটও বন্ধই বলা চলে। কোনো কোনো এলাকায় দুই-একটি মুদির দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা রয়েছে। কয়েকটি রিক্সা দেখা গেলেও যাত্রী মিলছে না।

Loading...