কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর জানিয়েছে, যে-সকল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ বহাল রয়েছে এবং যে-সকল কারখানা করোনা প্রতিরোধে অপরিহার্য পণ্য উৎপাদন করছে - সরকার সেগুলো বন্ধের নির্দেশনা দেয়নি।
এ-বিষয়ে শুক্রবার (২৭ মার্চ) কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়েছে। পত্রটি সকল মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা কঠোরভাবে প্রতিপালন সাপেক্ষে মালিকগণ প্রয়োজনবোধে বর্ণিত কলকারখানা সচল রাখতে পারবেন।
পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘শিল্প কারখানা বন্ধের বিষয়ে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভিন্ন বক্তব্য প্রচারিত হচ্ছে। এতে করে কারখানা মালিকগণ শিল্প কারখানা চালু রাখার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন। যে-সকল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ বহাল রয়েছে এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি ও অপরিহার্য পণ্য পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট, মাক্স, গ্লাভ্স, হ্যান্ড ওয়াশ বা স্যানিটাইজার, ঔষধ ইত্যাদির উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে - সে-সকল কলকারখানা বন্ধের বিযয়ে সরকার কোনো নির্দেশনা প্রদান করেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইডিসিআর কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা কঠোরভাবে প্রতিপালন সাপেক্ষে মালিকগণ প্রয়োজনবোধে বর্ণিত কলকারখানা সচল রাখতে পারবেন।
পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনাসহ তাঁদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিতকরণে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে, প্রত্যেক কর্মীকে দেহের তাপমাত্রা পরিমাপক থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মালিকপক্ষকে পত্রে অনুরোধ করা হয়েছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের বেশি হলে এবং সর্দি, কাশি ও শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা থাকলে, অর্থাৎ করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে - তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করে সঙ্গনিরোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মালিকপক্ষকে অনুরোধ করা হয়।