শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই চরম বিতর্কিত এক পেনাল্টিতে পিছিয়ে যায় ইউভেন্টাস। পরে আরেক পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় আনেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড বিরতির পরে দারুণ আরেক গোলে এগিয়েও নেন দলকে, তবুও কাজ হয়নি। ‘বিতর্কিত’ ওই অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে পরের রাউন্ডে চলে গেছে অলিম্পিক লিঁও।
নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে গতকাল শুক্রবার রাতে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে লিঁওকে ২-১ গোলে হারিয়েও হতাশা হতে হয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্টদের। দুই লেগ মিলিয়ে সমান ২-২ গোল হলেও অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে ফরাসি ক্লাব লিঁও।
এদিন নয় মিনিটে রেফারির এক সিদ্ধান্তে ভুগতে হয়েছে ইউভেন্টাসকে। বক্সের ভেতর ইউভেন্টাস ডিফেন্ডার বেন্টাকুর পা সামান্য স্পর্শ করেছিল আউয়ার হিলে। অতি সাধারণ এই শরীর স্পর্শেই পেনাল্টি ডেকে বসেন রেফারি ফেলিক্স জাওয়ার। পেনাল্টি থেকে মেম্ফিস ডিপের গোলে এগিয়ে যায় লিঁও (১-০)।
পরের রাউন্ডে যেতে হলে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততেই হতো ইউভেন্টাসকে। এই অবস্থায় বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পিছিয়ে গিয়ে মরিয়া হয়ে উঠেন তাঁরা। একের পর এক আক্রমণে চলে গোলের চেষ্টা।
১৭ মিনিটে ফেডেরিকো বার্নার্ডেস্কি ডানপ্রান্ত দিয়ে তিনজনকে কাটিয়ে ঢুকে যান বক্সে, গোলকিপারকেও পেরিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর নেওয়া নিশ্চিত গোলমুখি শট লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফার্নান্দো মার্কল।
পরের মিনিটে সিআর সেভেনের হেড বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৩৯ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো ইউভরা। তবে, রোনাল্ডোর দারুণ ফ্রি কিক দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন লিঁওর গোলকিপার এন্তনি লোপেজ।
পরের মিনিটে একই স্থানে আবার ফ্রি কিক পায় ইউভেন্টাস। এবার রোনাল্ডোর নেওয়া শট প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় ইতালিয়ান ক্লাবটি। তা থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান সিআর সেভেন (১-১)।
বিরতির পরে প্রথম বেশ কয়েক মিনিট অনেকটা উদ্দেশ্যহীন খেলার চলার পরে আসে কাঙ্খিত ক্ষণ। ৬০ মিনিটে ডান পাশে বক্সের বাইরে বল পেয়ে আড়াআড়ি শটে গােল করে চমকে দেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার রোনাল্ডো (২-১)।
এগিয়ে যেয়ে তুরিনের ওল্ড লেডিখ্যাত ক্লাবটির আশা ফের জেগে উঠে। আরও এক গোলের কাছে গিয়েছিল ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। যাহোক, ৬৮ মিনিটে রোনাল্ডোর ক্রস হেডে বারের উপর দিয়ে পাঠান হিগুয়েইন। ৭৫ মিনিটে কর্নার থেকে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন রোনাল্ডো। তাঁর হেডও বারের উপর দিয়ে চলে যায়।
শেষের দিকে বক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রি-কিক কাজে লাগাতে পারেননি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সফল তারকা রোনাল্ডো। ফলে, ম্যাচ জিতলেও শেষ বাঁশি বাজার পরে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁদেরকে।
