বোলারদের নৈপুণ্যে পাওয়া সহজ লক্ষ্য ইংল্যান্ডের হাত ফসকে যেতে বসেছিল। যাহোক, চাপের মধ্যেই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান। অধিনায়ক ওয়েন মরগ্যানের কাছ থেকেও এলো অপরাজিত গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। ফলে, এক ম্যাচ হাতে রেখেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ড।
রোববার (২৯ নভেম্বর) পার্লে দুই দলের টানটান উত্তেজনাপূর্ণ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির ফয়সালা হয়েছে শেষ ওভারে। মাত্র এক বল বাকি থাকতে চার উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারী দল। স্বাগতিকরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৪৬ রান করেছিল। জবাবে ১৯.৫ ওভারে ছয় উইকেটে ১৪৭ রান করে শেষ হাসি হেসেছে মরগ্যানবাহিনী।
কাগিসো রাবাদার শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল মাত্র তিন রান। কিন্তু বারবার রঙ বদলানাে ম্যাচে নাটকীয়তার তখনও অনেক বাকি ছিল। প্রথম বল ডট দিয়ে পরের বলে বোল্ড হয়ে যান স্যাম কারান। তৃতীয় বলে ডাবল নিয়ে দু’দলের স্কোর সমান করে ফেলেন আটে নামা ক্রিস জর্ডান। চতুর্থ বল ফের ডট; ফলে তৈরি হয় সুপার ওভারের সম্ভাবনা। তবে পঞ্চম বল স্কয়ার লেগে ঠেলে এক রান নিয়ে দলকে উল্লাসে মাতান জর্ডান।
মন্থর উইকেটে ইংল্যান্ডের জয়ের মূল কারিগর ছিলেন মালান। চতুর্দশ ওভারে ৮৩ রানে চার উইকেট খুইয়ে ফেলা দলটি পঞ্চম উইকেটে পেয়েছে ২৭ বলে ৫১ রানের জুটি। ম্যাচ মুঠোয় নিয়ে আসার পরপরই অবশ্য বিদায় নেন মালান। লুঙ্গি এনগিডির করা অষ্টাদশ ওভারের প্রথম চার বলে ১৬ রান নেওয়া এই বাঁহাতি ফেরেন ৪০ বলে ৫৫ রান করে। তাঁর ইনিংসে ছিল সাত চার ও এক ছক্কা।
দলকে জিতিয়ে ১৭ বলে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মরগ্যান। তিনি মেরেছেন তিন চার ও এক ছক্কা। প্রোটিয়াদের পক্ষে পেসার এনগিডি দুই উইকেট নিতে দিয়েছেন ৫১ রান। বাকি বোলাররা অবশ্য মিতব্যয়ী ছিলেন। স্পিনার তাবরাইজ শামসি তিন উইকেট পেয়েছেন ১৯ রান দিয়ে।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পঞ্চাশোর্ধ্ব কোনো জুটি পায়নি দলটি। তাঁদের প্রথম সাতজন ব্যাটসম্যান দুই অংকে পৌঁছালেও কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন ১৮ বলে।
ইংল্যান্ডের হয়ে ২৩ রানে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের সবচেয়ে সফল বোলার আদিল রশিদ। এছাড়া, উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন জোফ্রা আর্চার, টম কারান ও জর্ডান; অন্যটি রান আউট।