loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়


ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮৯/৪ (স্মিথ ১০৪, ওয়ার্নার ৮৩, লাবুস্কাগ্নি ৭০, ফিঞ্চ ৬০, ম্যাক্সওয়েল ৬৩*; শামি ১/৭৩, বুমরাহ ১/৭৯, পান্ডিয়া ১/২৪)
ভারত: ৫০ ওভারে ৩৩৮/৯  (কোহলি ৮৯, রাহুল ৭৬, আইয়ার ৩৮; হেজেলউড ২/৫৯, কামিন্স ৩/৬৭, জাম্পা ২/৬২, হেনরিক্স ১/৩৪, ম্যাক্সওয়েল ১/৩৪)
ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৫১ রানে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজ অস্ট্রেলিয়া ২-০ তে এগিয়ে

আরও একবার ভারতের বিপক্ষে জ্বলে উঠলো স্টিভেন স্মিথের ব্যাট। আবার ঝড়ো শতরান তিনি করলেন। শেষ দিকে নেমে বিস্ফোরক ইনিংস খেললেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। রানের পাহাড়ে চড়ে ভারতের বিপক্ষে নতুন রেকর্ড করলো অস্ট্রেলিয়া। প্রতিপক্ষের বিশাল সংগ্রহ টপকাতে ভিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল চেষ্টা করলেও তাতে কাজ হয়নি।

সিডনিতে রোববার (২৯ নভেম্বর) দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও দাপুটে জয় পেয়েছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। আগের ম্যাচের ৩৭৩ রানকে ছাপিয়ে ৩৮৯ রান সংগ্রহ করে ভারতের বিপক্ষে নতুন রেকর্ড গড়েছে দলটি। পরে, সফরকারীদের ৩৩৮ রানে আটকে ৫১ রানের জয়ে একদিনের সিরিজ নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।

দলের জয়ে রান পেয়েছেন বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান। ডেভিড ওয়ার্নার করেছেন ৭৭ বলে ৮৩, অধিনায়ক ফিঞ্চ করেছেন ৬৯ বলে ৬০। এই ভিতের উপর দাঁড়িয়ে মাত্র ৬৪ বলে ১০৪ রান করেছেন স্মিথ। দলের রান চারশোর কাছাকাছি নিতে মাত্র ২৯ বলে ৬৩ রানের ঝড় ছুটিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল।

জবাবে এদিনও ভারতের টপ অর্ডার মেটাতে পারেনি দলের চাহিদা। অধিনায়ক কোহলি ৮৭ বলে করেন ৮৯। লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ বলে ৭৬ রান।

টস জেতায় এদিনও ব্যাটিং-স্বর্গ আগে কাজে লাগানোর সুযোগ মেলে স্বাগতিকদের। দুই ওপেনার আবার দারুণ শুরু করেছেন। অনায়াসে ব্যাট করে ফের শতরানের জুটি ছাড়িয়ে যান তাঁরা। ২৩তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ শামি। ততক্ষণে হয়ে গেছে ১৪২ রান।

একটু পরে ৮৩ রান করা ওয়ার্নারকে রান আউট করতে পারলেও লাগাম টানতে পারেনি ভারত। মার্নাস লাবুস্কাগ্নিকে এক পাশে রেখে দুরন্ত হয়ে উঠেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার সেরা ব্যাটসম্যান মেলে ধরেন স্ট্রোকের পসরা। তরতরিয়ে রান বাড়তে থাকে দলের। তৃতীয় উইকেটে আনেন ১৩৬ রানের জুটি। ৬২ বলে স্মিথ করে ফেলেন সেঞ্চুরি। ১৪ চার, ২ ছক্কার ইনিংস আর এগোয়নি।

তবে লাবুস্কাগ্নিকে নিয়েই বাকিটা সেরেছেন ম্যাক্সওয়েল। সাম্প্রতিক আইপিএল-এ নিষ্প্রভ থাকা এই ব্যাটসম্যান ২৯ বলে চারটি করে চার-ছক্কায় করেন ৬৩ রান। এর আগে ৬১ বলে ৭০ করে আউট হন লাবুস্কাগ্নি।

পাহাড় টপকাতে গিয়ে মায়ঙ্ক আগারওয়াল-শেখর ধাওয়ান বুঝেশুনে খেলছিলেন। কিন্তু ঝড়ো শুরু আনতে না পারার সঙ্গে থিতু হয়ে তাদের ফেরা চাপ বাড়ায় দলের। শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে সেই চাপ সরিয়ে দলকে খেলায় এনেছিলেন কোহলি। কিন্তু ৯৩ রানের জুটির পরে আইয়ারে ফিরেছেন কাজ অসমাপ্ত রেখে। পরে, রাহুলকে নিয়েও দলের আশা বাড়াচ্ছিলেন ভারত অধিনায়ক।

তবে আস্কিং রান রেটের চাপ বাধা হয়ে যায় তাঁদের। চাপ কাটাতে বাড়তি শটের চেষ্টায় কোহলি দারুণ এক ক্যাচে বিদায় নেন। তখনই মূলত ম্যাচের ভাগ্য অজিদের দিকেই বেশিরভাগ চলে যায়। অবশ্য, রাহুল-হার্দিক পান্ডিয়া মিলে অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারলে প্রেক্ষাপট হয়তো বদলাতো।

আডাম জাম্পার বলে ৭৬ রানে বিদায় নেন রাহুলও। আগের ম্যাচে তালে থাকলেও এদিন ব্যাট-বলের সংযোগ বারবার এদিক-সেদিক হওয়ায় হার্দিক খেলেছেন বেশ কয়েকটি ডট বল। রবীন্দ্র জাদেজা নেমে তাই রোমাঞ্চকর কিছু শট খেলে গ্যালারিতে থাকা ভারতীয় সমর্থকদের সামান্য আনন্দ দিতে পেরেছেন।

২ ডিসেম্বর ক্যানবেরায় হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে নামবে ভারত।

Loading...