loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

বীর মুক্তিযোদ্ধা, অভিনয় শিল্পী মজিবুর রহমান দিলু আর নেই


বীর মুক্তিযোদ্ধা, অভিনয় শিল্পী মজিবুর রহমান দিলু আর নেই

বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক মজিবুর রহমান দিলু আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ সকাল সাড়ে ছয়টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দিলুর পরিবারসূত্র মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

মজিবুর রহমান দিলুর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

জানা গেছে, আজ বেলা ১টায় দিলুর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে বেলা তিনটায় নেওয়া হবে শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে নেওয়া হবে বনানী কবরস্থানে। সেখানে গার্ড অফ অনার জানিয়ে দাফন সম্পন্ন হবে।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধা, অভিনেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তাঁরা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

নিউমোনিয়া রোগ নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে উত্তরার বাসার পাশেই একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই থিয়েটার-কর্মী ও নাট্যকার। ভর্তির পরে চিকিৎসক জানান, তাঁর ফুসফুসের বাম পাশে ৭০ শতাংশ ও ডান পাশে ১০ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস ‘সংশপ্তক’-এর উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা ‘সংশপ্তক’ নাটকে বড় মালু চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হন দিলু। অনেকে তাঁকে বড় মালু নামেই চেনেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য মঞ্চ নাটক হলো – ‘আমি গাধা বলছি’, ‘নানা রঙের দিনগুলি’, ‘জনতার রঙ্গশালা’, ‘নীল পানিয়া’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘ওমা, কি তামাশা’ প্রভৃতি। এছাড়া, বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় নাটক ‘তথাপি’, ‘সময় অসময়’ ও ‘সংশপ্তক’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন তিনি। 

‘ঢাকার ড্রামা’ নামে একটি নাট্যগোষ্ঠীও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দিলু।

বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই স্বাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন মজিবুর রহমান দিলু। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে যে-মিছিলে গুলিতে আসাদ শহীদ হয়েছিলেন, সেই মিছিলে তিনিও ছিলেন। 

১৯৭০ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েই যুদ্ধে চলে যান দিলু। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকায় সরাসরি রণাঙ্গনে ছিলেন তিনি। সে-সময় ঢাকায় কয়েকটি দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছিলেন তিনি।

Loading...