যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জন্সন পারস্পরিক সম্পর্ক আরও গভীর এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সহযোগিতা আরও জোরদারের অঙ্গীকার করেছেন। গত সপ্তাহে জো বাইডেনের অভিষেকের পরে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) এই প্রথম উভয় নেতার মধ্যকার আলাপে তাঁরা এই অঙ্গীকার করেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এ-তথ্য জানা গেছে। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের।
ডাউনিং স্ট্রিটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জন্সন বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ব্রিটিশ পত্রপত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, জন্সনই প্রথম ইউরোপীয় নেতা যিনি বাইডেনের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন। বাইডেন এর আগে কানাডা ও মেক্সিকোর নেতার সঙ্গে কথা বলেন।
বাইডেন ২০১৯ সালে জন্সনকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্লোন বলে উল্লেখ করেছিলেন। এছাড়া, বাইডেন জন্সনের ব্রেক্সিট-নীতিরও সমালোচক। কিন্তু ডাউনিং স্ট্রিটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় নেতা দুই দেশের সম্ভাব্য অবাধ বাণিজ্য-চুক্তির সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, উভয়ের শীতল সম্পর্কে উষ্ণতা সৃষ্টিই এই ফোনালাপের উদ্দেশ্য।
জন্সন শিগগিরই বর্তমান বাণিজ্য-সমস্যা সমাধানেরও আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া, দুই নেতাই যতো দ্রুত সম্ভব সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁরা চলতি বছরের নভেম্বরে স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়ে একযোগে কাজ করারও অঙ্গীকার করেছেন।
ন্যাটো জোটের বিষয়েও উভয় নেতা তাঁদের অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেন। এছাড়া, মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ও গণতন্ত্র সুরক্ষা নিয়েও তাঁরা কথা বলেছেন।
একই সঙ্গে উভয় নেতা করোনা মহামারিকালে বিশ্ব যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তাতেও একমত হয়েছেন।