loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আর নেই


অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আর নেই

বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আর নেই। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টার দিকে ঢাকার সূত্রাপুরে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন)। এটিএম শামসুজ্জামানকে গত বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন।

এ টি এম শামসুজ্জামান বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেদিন তাঁর খুব শ্বাসকষ্ট হয়েছিল। সেই রাতে তাঁকে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই বছরের ডিসেম্বরে সর্বশেষ আবারও এ টি এম শামসুজ্জামানকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে চিকিৎসা শেষে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এই অভিনেতাকে।

১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। তিনি প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। 

শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এই শিল্পী। এরমধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো – ‘জলছবি’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘মাটির ঘর’, ‘মাটির কসম’, ‘চিৎকার’ ও ‘লাল কাজল’।

১৯৬৫ সালে চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের অভিষেক হয়। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়ক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এই অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত ছবি ‘এবাদত’। পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুই বিভাগে পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ ও ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ টি এম শামছুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পৃথক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

Loading...