নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বব্যাপী হঠাৎ করেই আবারও সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ লকডাউনসহ আবার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। কোভিড-১৯ রোগে বিশ্বে ইতোমধ্যে মারা গেছেন প্রায় ৩১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি নয় লাখ ৬০ হাজার ৩৩০ জন। এছাড়া, সুস্থ হয়েছেন আট কোটি ৭৯ লাখ সাত হাজার ৩৬ জন। আজ শনিবার সকাল ৮টায় জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ-তথ্য জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন কোটি ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ১৯৩ জন এবং মারা গেছেন পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৯০২ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে শনাক্ত হয়েছেন এক কোটি ৮৭ লাখ ৬২ হাজার ৯৭৬ জন। মৃত্যুর দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে থাকা ভারতে এ-পর্যন্ত মারা গেছেন দুই লাখ আট হাজার ৩৩০ জন; সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৫৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪১৮ জন।
জন্স হপকিন্সের হিসাবে, মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় ও সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৪৬ লাখ ৫৯ হাজার ১১ জন এবং মারা গেছেন চার লাখ তিন হাজার ৭৮১ জন। সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ২৫৬ জন।
মৃতের সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ১৬ হাজার ৪৪৭ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৩৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৮৬১ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নতুন ভাইরাস ভ্যারিয়ান্ট (প্রজাতি) এবং কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধ-ব্যবস্থায় ব্যর্থতার কারণে ভারতে অতিমারি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাত লাখ ৫৯ হাজার ১৩২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন ১১,৪৫০ জন; সুস্থ হয়েছেন ছয় লাখ ৮১ হাজার ৪২৬ জন।