এর আগে চারবার জার্মানির মুখোমুখি হয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো; কখনোই জয় পাননি, গোলও নয়। তবে, শনিবার (১৯ জুন) ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে গোল পেলেন, করালেনও। কিন্তু, জয় পাওয়া হয়নি তাঁর। আরেকবার জার্মানির কাছে পরাজিত হলো রোনাল্ডোর পর্তুগাল। অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় পর্তুগালকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে জার্মানি।
শুরুতে রোনাল্ডোর গোলে গিয়ে গিয়েছিল ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দেশটি। এরপর চার মিনিটের ব্যবধানে দুটি আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি গোল করেন কাই হাভার্টজ ও রবিন গোসেন। পরে পর্তুগালের হয়ে দিয়েগো জোতা ব্যবধান কমালেও পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে সিআর সেভেনদের।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে জার্মানি। পঞ্চম মিনিটে পর্তুগালের জালে বল পাঠিয়েছিল দলটি; তবে, অফসাইডের কারণে বাতিল হয়েছে সেই গোল। চার মিনিট পরে থমাস মুলারের দূরপাল্লার শট পর্তুগাল গোলরক্ষক রুই পেত্রিসিও না ঠেকালে এগিয়ে যেতে পারতো জার্মানরা। তবে, পেত্রিসিও ঠিকভাবে ধরতে না পারায় মুক্ত বল পেয়ে গিয়েছিলেন সার্জ গনাব্রি। যাহোক, গোল হয়নি।
ধারার বিপরীতে পঞ্চদশ মিনিটে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। জার্মানির কর্নার প্রতিহত করে পাল্টা আক্রমণ তৈরি করে দেন রোনাল্ডো – যা থেকে বার্নার্ডো সিলভার ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লক্ষ্যে দিয়েগো জোতার শট ঠেকিয়ে দেন ম্যানুয়েল নয়ার। তবে, মুক্ত বল পেয়ে যান ফাঁকায় থাকা রোনাল্ডো; আলতো ছোঁয়ায় সেটি জালে জড়াতে ভুল করেননি এই তারকা। চলতি আসরে এটা তাঁর তৃতীয় গোল। আর আন্তর্জাতিক আসরে তাঁর গোল সংখ্যা ১০৭টি।
অষ্টাদশ মিনিটে ম্যাট হামেল্সের পাস থেকে গোসেনের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন পেত্রিসিও।
চার মিনিট পরে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল পর্তুগালেরও। সিলভার ক্রস থেকে হেড নিয়েছিলেন রুবেন দিয়াস, কিন্তু অল্পের তা জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৩৫তম মিনিটে এই দিয়াসের আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে জার্মানরা। গোসেনের ভলিতে বল ঠেকাতে গিয়ে নিজের জালে পাঠান এই ডিফেন্ডার। চার মিনিট পরে আরও একটি আত্মঘাতী গোল হজম করে পর্তুগাল। এবার কিমিচের শট ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল প্রবেশ করান রাফায়েল গুয়েরেইরো।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেত্রিসিও দারুণ সেইভ না করলে ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো। গোসেনের জোরালো শট প্রতিহত করেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক। যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে আবারও পর্তুগালের ত্রাতা পেত্রিসিও। প্রায় নিজেদের অর্ধ থেকে দারুণ দক্ষতায় বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শট নিয়েছিলেন গনাব্রি, তবে এবারও ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে আর তাঁদের আটকাতে পারেননি পেত্রিসিও। মুলারের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে দারুণ এক ক্রস দেন গোসেন। ফাঁকায় বল পেয়ে বল জালে জড়ান কাই হাভার্টজ। ৬০তম মিনিটে আরও একটি গোল হজম করে পর্তুগাল। এবার কিমিচের ক্রস থেকে গোসেনের হেড জাল স্পর্শ করে।
৬৭তম মিনিটে ব্যবধান কমায় পর্তুগাল। বদলি খেলোয়াড় মৌতিনিয়োর ফ্রিকিক থেকে দারুণ ভলিতে গোললাইনে বল রাখেন রোনাল্ডো; ফাঁকায় বল পেয়ে তা জালে জড়ান জোতা।
১২ মিনিট পরে ব্যবধান কমাতে পারতেন রোনাল্ডোরা। এবার বদলি খেলোয়াড় রেনেতো সাঞ্চেজের দূরপাল্লার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। পাঁচ মিনিট পরে একইভাবে হতাশ হয়েছে জার্মানরাও। বদলি খেলোয়াড় লিঁও গোরেটজকার শট বারপোস্টে লেগে বের হয়ে যায়।
ম্যাচের শেষ দিকে বেশ চাপ সৃষ্টি করে পর্তুগাল; কিন্তু গোল হয়নি।