টোকিও অলিম্পিকে সোমবার (২ অগাস্ট) নারী ব্যাডমিন্টন দ্বৈতে স্বর্ণপদক জয়ের পরে ইন্দোনেশিয় শাটলার গ্রিসিয়া পোলি বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে প্রচণ্ড আগ্রহ ও প্রচেষ্টার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ৩৩ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি স্বদেশি অপ্রিয়ানি রাহায়ু’র সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে চিনের চেন কিংচেন ও ঝিয়া ইফান জুটিকে ২১-১৯, ২১-১৫ পয়েন্টে হারিয়ে ইন্দোনেশিয়াকে নারী দ্বৈতে প্রথম স্বর্ণপদক এনে দিয়েছেন। টোকিও অলিম্পিকেও এটি ছিল ইন্দোনেশিয়ার প্রথম স্বর্ণপদক জয়।
পাঁচ বছর আগে অবসরের চিন্তা করা পোলির কাছে এটি এক অনন্য সাফল্য। ব্রাজিলের রিওতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের কোয়ার্টার-ফাইনালে পরাজিত হওয়ার সময় প্রিয় পার্টনার নিত্য কৃষিন্দা মহেশ্বরি হাঁটুর আঘাতে পড়ায় এমনটি চিন্তা করেছিলেন তিনি। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকের ব্যর্থতার তিক্ত স্মৃতি মুছতেও কাজ করবে এই পদক। ওই সময় তাঁর সঙ্গী ছিলেন মেলিয়ানা জৌহরি।
আবেগাপ্লুত পোলি বলেন, ‘আমি শুধু একাগ্রতা ও সফলতা লাভের জন্য প্রচণ্ডভাবে আগ্রহী ছিলাম, যা আমাকে এই স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করেছে।’
পোলি বলেন, ‘লন্ডন অলিম্পিকের ব্যর্থতা আমার হৃদয় ভেঙ্গে দিয়েছিল। ইন্দোনেশিয়ার বিপুলসংখ্যক ভক্ত আমাকে বলেছিল, লড়াই চালিয়ে যেতে। আমার প্রতি তাঁদের বেশ আস্থা ছিল।’
২০১৬ সালে ১০ বছরের জুনিয়র রাহায়ুর সঙ্গে জুটি বাঁধার প্রস্তাব দিয়ে অবসর গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে পোলিকে সহায়তা করেছিলেন তাঁর কোচ। পোলিকে ‘রোল মডেল’ আখ্যা দিয়ে রাহায়ু বলেন, অভিজ্ঞ সঙ্গীর সঙ্গ তাঁকে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ‘তিনি সবসময় আমাকে স্বস্তির পজিশনে খেলার সুযোগ করে দিতেন। আমার বয়স যখন আরও কম ছিল, তখন কারো নির্দেশ মানা, অথবা আমার কি করতে হবে – সেটি বলতে পছন্দ করতাম না। কিন্তু তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে আমি পরিণত হয়ে উঠি। প্রাত্যহিক জীবনের পাশাপাশি মানসিকভাবেও।’
এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কিম সু ইয়ং ও কং হি ইয়ং জুটি। তাঁরা ২১-১০ ও ২১-১৭ পয়েন্টে হারিয়েছে স্বদেশি লি সো হি এবং শিন সেউং চ্যান জুটিকে।