loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে এনসিপির মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

  • ‘আগামী নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো নির্বাচন

  • এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে আটটায় কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে

  • বেনফিকাকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে চেল্সি

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষিত

লকডাউন বাড়লো ১০ আগস্ট পর্যন্ত


লকডাউন বাড়লো ১০ আগস্ট পর্যন্ত

করোনা-সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর লকডাউন আগামী ১০ অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৩ অগাস্ট) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া, আগামী ১১ অগাস্ট থেকে দোকানপাট খুলে দেওয়া হতে পারে। সীমিত পরিসরে চলবে গণপরিবহন। সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সাত দিনের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই সাত দিনে প্রায় এক কোটি টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়স্করা অগ্রাধিকার পাবেন।

ভ্যাক্সিনের পাশাপাশি মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, যাতে যাঁরা মাস্ক পরবেন না – তাঁদের জরিমানা করতে পারে। এজন্য অধ্যাদেশ লাগবে। এ-বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।

এর আগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় ভার্চুয়ালি মন্ত্রি-প্রতিমন্ত্রীগণ যুক্ত ছিলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১০ অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ ব্যাপকভিত্তিক টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনার পরে ১১ অগাস্ট থেকে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস খুলবে। সীমিত পরিসরে ‘রোটেশন করে’ যানবাহন চলবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর এ-বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ১০ তারিখ পর্যন্ত বিধিনিষেধ চলবে, ১১ তারিখ থেকে খুলবে অফিস।’

তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে ভ্যাক্সিনেটেড করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে পাঁচ থেকে সাতটি কেন্দ্র করে এক কোটি মানুষকে ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। মানুষকে ভ্যাক্সিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাঁদের কাছে পৌঁছে যাবে।

টিকা না নিয়ে কেউ কাজে যোগ দিতে পারবেন না জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী বলেন, কাজে যোগ দিতে হলে অবশ্যই ভ্যাক্সিন নিতে হবে। ১৪ হাজার কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, লঞ্চ, স্টিমার আছে, রেল আছে, সেগুলোও চলবে। সব যে-পরিমাণে অতীতে চলছিল, সে-পরিমাণ না চলে সীমিত আকারে চলবে। কর্তৃপক্ষ সেগুলো নির্ধারণ করে জনগণকে অবহিত করবে। যেমন, রেল হয়তো ১০টা চলতো, এখন পাঁচটা চলবে। কোন সময়ে কোনটা ছাড়বে এবং কিভাবে যাবে, এগুলো স্ব স্ব মন্ত্রণালয় ও ডিপার্টমেন্ট জনগণকে অবহিত করবে, যাতে করে কোনো গ্যাপ না থাকে।

Loading...