loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • চিন্তার ক্ষেত্রে ভেঙে পড়া সেতুগুলো মেরামত করতে হবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা

  • বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি থেকে উত্তীর্ণ হতে চলেছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

  • বিএনপি ঐকমত্য চায়, সঙ্গে নির্বাচনী রোডম্যাপ

  • ক্যারিয়ার সেরা র‌্যাংকিংয়ে নাহিদা; উন্নতি পিংকি, জ্যোতি ও সুপ্তার

  • বিপিএল টি-টোয়েন্টির থিম গ্রাফিতি ও থিম সং প্রকাশ

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত ইনামুল হক


শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত ইনামুল হক

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. ইনামুল হক। বুয়েট ও বনানী কবরস্থান জামে মসজিদে দুই দফা জানাজা শেষে তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ড. ইনামুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সরকারের মন্ত্রীবর্গ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ।

সকালে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ড. ইনামুল হকের মরদেহ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, ঢাকা-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, অভিনেতা শাহনাজ খুশি, আবুল হায়াত, তানজিকা আমিন, নাতাশা হায়াত, মোমেনা চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মীর সাব্বির, নির্মাতা অরণ্য আনোয়ারসহ অনেকে।

এছাড়া, বাংলাদেশ বেতার-টেলিভশন শিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, সাংস্কৃতিক সংগঠন সম্প্রীতি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

এর আগে, ড. ইনামুল হকের প্রথম জানাজা সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বেইলি রোডে তাঁর নিজ বাসায় অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাঁর মরদেহ নেওয়া হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। সেখানে শিল্পী এবং তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ড. ইনামুল হকের মেয়ে হৃদি হক বলেন, ‘ড. ইনামুল হক আসলে সবার ছিলেন। ওনার ভাবনায়, চিন্তায়, চেতনায় ছিলো বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ। এর বাইরে কিচ্ছু ছিল না। তিনি আমাদের সকলের নাট্যগুরু, নাট্যপ্রাণ মানুষ। সারাজীবন নাটক, থিয়েটার, শিল্পচর্চা, সেই গণআন্দোলনের সময় থেকে শেষদিন পর্যন্ত বাবা অনুবাদের কাজ করে গেছেন। যেই ভালোবাসা তিনি মানুষকে দিয়েছিলেন, মানুষও তাঁকে সেই ভালোবাসা দিচ্ছেন।’

গত সোমবার দুপুরে ড. ইনামুল হক ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। 

১৯৪৩ সালে ফেনী সদরের মটবী এলাকায় জন্ম নেন ড. ইনামুল হক। বাবার নাম ওবায়দুল হক ও মা রাজিয়া খাতুন। স্ত্রী নাট্যজন লাকী ইনাম। তাঁদের সংসারে দুই মেয়ে – হৃদি হক ও প্রৈতি হক।

নাট্যজগতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১২ সালে ড. ইনামুল হক একুশে পদক লাভ করেন। ২০১৭ সালে তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে সরকার।

Loading...