loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

বহুল প্রতীক্ষিত পায়রা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী


বহুল প্রতীক্ষিত পায়রা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়াকাটাকে সরাসরি সড়ক পথে সংযোগকারী ‘পায়রা সেতু’ উদ্বোধন করেছেন। এর মাধ্যমে উন্নয়নের মহাসড়কে আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হলো দক্ষিণাঞ্চলবাসীর। ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালি-কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালির দুমকি উপজেলার লেবুখালি এলাকার খরস্রোতা পায়রা নদীর উপর নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। প্রধানমন্ত্রী রোববার (২৪ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সেতুটি উদ্বোধন করেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

পায়রা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সঙ্গে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দর পর্যন্ত সড়ক পথ ফেরিবিহীন হলো। এর আগে, বরিশাল থেকে মহাসড়ক পথে কুয়াকাটা পৌঁছাতে হলে ছয়টি স্থানে ফেরি পার হতে হতো।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে সর্বপ্রথম লাউকাঠি নদীতে পটুয়াখালী সেতু নির্মাণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে কীর্তনখোলা নদীর উপর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু (দপদপিয়া সেতু), খেপুপাড়ায় আন্ধারমানিক নদীর উপর শহীদ শেখ কামাল সেতু, হাজীপুরে সোনাতলা নদীর উপর শহীদ শেখ জামাল সেতু এবং মহিপুরে খাপড়াভাংগা নদীর উপর শহীদ শেখ রাসেল সেতু নির্মিত হয় এবং সর্বশেষ এই পায়রা সেতু নির্মিত হলো।

চার লেনের পায়রা সেতুর দৈর্ঘ্য ১,৪৭০ মিটার, প্রস্থ ১৯.৭৬ মিটার। জলতল থেকে সেতুটি ১৮.৩০ মিটার উঁচু। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উপর শাহ আমানত সেতুর আদলে নান্দনিক নকশায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।

সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, সেতুর উভয় পারে সাত কিলোমিটারজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে সংযোগ সড়ক। নদীর মাঝখানে মাত্র একটি খুঁটি বা পিলার ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে, নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে না। এছাড়া এই সেতুতে ‘ব্রিজ হেল্থ মনিটর (সেতু পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা)’ স্থাপন করা হয়েছে। এতে বজ্রপাত, ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই যানবাহন চলাচলে সেতুর কোনো ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হলে আগেভাগেই সংকেত পাওয়া যাবে। আধুনিক টোল প্লাজা নির্মাণ করা হয়েছে। রাখা হয়েছে উভয় পাশের যানবাহনের ওজন পরিমাপের ব্যবস্থা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকার ২০১২ সালের মে মাসে পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। 

সেতুটি নির্মাণে অর্থায়ন করেছে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ও ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট। নির্মাণ কাজ করেছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন।

Loading...