এদিন দলে ছিলেন না লিওনেল মেসি। করোনা-পজিটিভ থাকায় ডাগ আউটে থাকতে পারেননি কোচ লিওনেল স্ক্যালোনিও। দু’জনের না থাকাটা অবশ্য বুঝতে দেননি অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও লাউতারো মার্টিনেজরা; প্রতিপক্ষের মাঠে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) চিলিকে ২-১ গোলে হারিয়েই এসেছে আলবিসেলেস্তেরা। আর্জেন্টিনার পক্ষে গোল দু’টি করেছেন ডি মারিয়া ও মার্টিনেজ।
ম্যাচের শুরুতে কিছুটা চাপে থাকলেও সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেয় আর্জেন্টিনা। নবম মিনিটে পেয়ে যায় গোলও। রদ্রিগো ডি পল বল বাড়িয়ে দেন ডি মারিয়ার দিকে, তাঁর সামনে তখন প্রতিপক্ষে তিনজন ফুটবলার; তাঁদের এক রকম ফাঁকি দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে দৃষ্টিনন্দন গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি (১-০)।
সেই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ২০ মিনিটে স্বাগতিক চিলিকে সমতায় ফেরান বেন ব্রেরেটন। মার্সেলিয়ানো নুয়েজের কাছ থেকে পাওয়া বলে দুরূহ কোণ থেকে গোল করেন তিনি (১-১)।
২৫ মিনিটে ডি মারিয়ার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া আরও একটি শট আটকে দেন গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। ৩৪ মিনিটেও ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন রদ্রিগো ডি পলের শট। কিন্তু, ফিরতি বল পেয়ে যান মার্টিনেজ; সেটি জালে পাঠাতে ভুল করেননি তিনি (২-১)।
৩৭ ও ৩৮ মিনিটে দুটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি চিলি। পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় স্বাগতিক দেশকে।
বিরতি থেকে ফিরে দুই দলই কিছুটা ছন্দহীন ফুটবল খেলেছে। অবশ্য, ৮৪ মিনিটে এসে গোলের খুব কাছাকাছি ছিল চিলি। কিন্তু, এবার আর্জেন্টিনার ত্রাণকর্তা এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বেন ব্রেন্টনের হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন অ্যাস্টন ভিলা তারকা। ফলে, হতাশ হতে হয় চিলিকে।
শেষ পর্যন্ত বজায় ছিল এই গোল-ব্যবধান।
এই জয়ে টানা জয়ের রেকর্ড ধরে রাখলো আর্জেন্টিনা। ১৪ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুইয়েই থাকলো দেশটি। ১৫ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে সাতে আছে চিলি। ব্রাজিল ১৪ ম্যাচে ১১ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।