জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার ব্যক্তি জীবনের অজানা-অদেখা গল্প নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘হাসিনা: আ ডটার্স টেল’ গ্রিসে প্রদর্শিত হয়েছে। গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের বহুভাষিক পাঠাগার ও সংস্কৃতি কেন্দ্র ‘উই নিড বুক্স’-এ রোববার (৩ জুলাই) প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়।
‘উই নিড বুক্স’-এর সহায়তায় গ্রিসে বাংলাদেশের দূতাবাস এই প্রদর্শনীটি আয়োজন করেছিল। প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছাড়াও, ছাত্র, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ‘হাসিনা: আ ডটার্স টেল’ দেখতে উপস্থিত ছিলেন। প্রাচীন ও পশ্চিমা সভ্যতার দোলনা হিসেবে পরিচিত গ্রিসে এই তথ্যচিত্রের প্রথম প্রদর্শনী এটি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বহুভাষিক এই পাঠাগারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা লোয়ানা নিশিরিও এবং গ্রিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সংগ্রাম এবং আধুনিক, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ উন্নয়নশীল জাতি গঠনে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রামাণ্যচিত্রটি দর্শকদের মধ্যে উৎসাহ ও কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে।
‘হাসিনা: আ ডটার্স টেল’ ২০১৮ সালের নভেম্বরে সিনেমা হলে মুক্তি পায়। পরে বিভিন্ন টেলিভিশনেও সম্প্রচার করা হয়।
শেখ হাসিনার ১৯৫২ সালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকায় আসা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ঘটনা উঠে এসেছে এই প্রামাণ্যচিত্রে।
দুই বোন – শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকা অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট পরিবারের সব সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। এরপর, নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরা, দিক হারানো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরে দলকে আবার কক্ষপথে ফেরানো, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব – সব বিষয়ই প্রামাণ্যচিত্রে তুলে এনেছেন নির্মাতা।
পিপলু খান নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রটি এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত এই প্রামাণ্যচিত্রে স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছে বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংস্পর্শে তাঁর বেড়ে ওঠা, বাবার রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি তাঁর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের বিষয়টি।
সিআরআই-এর ব্যানারে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রটির প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, সিআরআই-এর ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, সিআরআই-এর ট্রাস্টি নসরুল হামিদ।
প্রামাণ্যচিত্রটির সংগীতায়োজন করেছেন দেবজ্যোতি মিশ্র, সিনেমাটোগ্রাফিতে সাদিক আহমেদ, সম্পাদনা করেছেন নবনীতা সেন।