জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম জীবনীগ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো বাংলা একাডেমির আয়োজনে। বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস স্মরণে সোমবার (১ অগাস্ট) একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া, জাতীয় শোক দিবস স্মরণে একাডেমির ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ভবনে মাসব্যাপী বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গ্রন্থের প্রদর্শনীও সোমবার শুরু হয়েছে।
একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ এবং শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন আগামী প্রকাশনী’র প্রকাশক ওসমান গনি। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ অগাস্ট ১৯৭৫-এর শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, আবার এসেছে শোকের মাস অগাস্ট। শোক থেকে শক্তি, শক্তি থেকে জাগরণ, জাগরণ থেকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। এই সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ড. মযহারুল ইসলাম রচিত গ্রন্থটি একটি আকর গ্রন্থ, সূচক-গ্রন্থ।
সেলিনা হোসেন বলেন, এই গ্রন্থ বঙ্গবন্ধু-গবেষণার ক্ষেত্রে পথিকৃৎ। বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য এই গ্রন্থে যেমন তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি তাঁর জীবনদর্শনের বিশদ আলোচনাও করা হয়েছে।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, তৃণমূল থেকে উত্থিত শেখ মুজিব কি করে জনগণনন্দিত মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হয়ে ওঠেন, লেখক বাংলার সংগ্রামী ইতিহাসের পরম্পরায় বঙ্গবন্ধুকে স্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, গত শতকের ত্রিশ-চল্লিশ দশক থেকে বাংলার রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর যে-ঐতিহাসিক পথযাত্রা, তা লেখক তথ্য ও তত্ত্বের আলোকে উপস্থাপন করে ভাষা আন্দোলন-গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটনে তাঁর ঐতিহাসিক অবদান অসাধারণ দক্ষতায় পাঠকের কাছে পরিস্ফুট করেছেন।
ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে একটি আদর্শ সংবিধান প্রণয়নে বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞা, মেধা, শ্রমের ধারাবাহিক ইতিহাস গ্রন্থটিতে উদ্ভাসিত হয়েছে।
