loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফ্রান্সের শুভ সূচনা; জিরুর দুই গোল


অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফ্রান্সের শুভ সূচনা; জিরুর দুই গোল

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ম্যাচ জিতেই কাতার বিশ্বকাপ শুরু করলো। আল-ওয়াকরাহ’র আল-জানুব স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত ডি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও অভিজ্ঞ অলিভিয়ে জিরুর দুই গোলে সকারুজদের ৪-১  ব্যবধানে পরাজিত করেছে লেস ব্লুজরা।

আল ওয়াকরাহর আল জানোব স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাতে ফিফা বিশ্বকাপের ডি’ গ্রুপের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ফ্রান্স। দুই গোল করেছেন অলিভিয়ে জিরু। একটি করে গোল পেয়েছেন এমবাপে ও রাবিউত। রাশিয়ায় গত আসরেও একই গ্রুপে পড়েছিল দেশ দু’টি। সেবার সকারুজদের ২-১ গোলে হারিয়েছিলেন এমবাপেরা।

এর আগে, বিশ্বকাপ ফাইনালিস্ট হিসেবে খেলতে নেমে দুইবারই গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল ফ্রান্স। ২০০২ সালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচে সেনেগালের কাছে এবং ২০১০ সালে আগেরবারের রানার্সআপ হয়ে খেলতে গিয়ে মেক্সিকোর কাছে হেরেছিল দল।

এদিন গোলের নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন জিরু। ছুঁয়েছেন স্বদেশি কিংবদন্তি থিয়েরি অরিঁকে। ফ্রান্সের হয়ে এতদিন ৫১টি গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন অরিঁ। এদিন দুই গোল করে তাঁকে স্পর্শ করেছেন জিরু। অথচ, করিম বেন্জেমা সুস্থ থাকলে প্রথম একাদশে নামাই হতো না তাঁর।

এদিন ম্যাচের শুরুতে নিজেদের গোছাতে পারেনি ফরাসিরা। সেই সুযোগে নবম তাঁদের চমকে দেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রেইগ গুডউইন। অবশ্য, পিছিয়ে পড়ার পরে নিজেদের ধীরে ধীরে গুছিয়ে নেয় দলটি। এরপর আধিপত্য বিস্তার করে ৬৩ শতাংশ সময় বল দখলে রাখেন তাঁরা। ২৩টি শট নিয়ে সাতটি লক্ষ্যে রাখে দলটি। অন্যদিকে, চার শটের মাত্র একটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া।

ম্যাচের নবম মিনিটে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সাময়িক স্তব্ধ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। নিজের অর্ধ থেকে হ্যারি সাউটারের বাড়ানো বল ডান প্রান্তে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলমুখে ক্রস করেন ম্যাথিউ লাকি। একে বাড়ে ফাঁকায় পেয়ে যান গুডউইন। বল পেয়ে জোরালো শটে জাল স্পর্শ করেন এই ফরোয়ার্ড (১-০)।

গোল হজমের সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি ধাক্কা খায় ফ্রান্স। লাকির সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে ইনজুরিতে পড়েন ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্দেজ; ফলে, মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।

একবিংশ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া মিচেল ডিউকের জোরালো শট প্রায় বারপোস্ট ঘেঁষে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ছয় মিনিট পরে ম্যাচে ফিরে আসে ফ্রান্স। কর্নার থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ক্রস করেন বদলি খেলোয়াড় থিও হার্নান্দেজ। দারুণ এক হেডে দিক বদলে বল জালে পাঠান রাবিউত (১-১)।

এর পাঁচ মিনিট পরে দ্বিতীয় গোল করে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের অর্ধে বিপজ্জনক জায়গায় বল হারান নাথানিয়েল অ্যাটকিন্সন। বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ফাঁকায় থাকা জিরুকে খুঁজে নেন রাবিউ। গোলমুখে বল পেয়ে আলতো ছােঁয়ায় বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি এই ফরোয়ার্ডের (২-১)।

৩৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন জিরু; কিন্তু উড়িয়ে মেরেছেন তিনি। পাঁচ মিনিট পরে দেম্বেলেও ফাঁকায় পেয়ে উড়িয়ে মারেন। ৪২তম মিনিটে এমবাপের ব্যাকপাস থেকে বল পেয়ে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন গ্রিজমান; কিন্তু অল্পের জন্য সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৪৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপে। নিজেদের অর্ধ থেকে সতীর্থের বাড়ানো থ্রু পাস ডান প্রান্তে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলমুখে রেখেছিলেন গ্রিজমান। একেবারে ফাঁকায় হাওয়ায় ভাসা বলে ভলি করেছিলেন এমবাপে; কিন্তু, বল বারপোস্টের উপর দিয়ে গেলে ব্যবধান বাড়েনি।

পরের মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো অস্ট্রেলিয়া; বড় বাঁচা বেঁচে গেছে ফ্রান্স। বাঁ প্রান্ত থেকে আসা রিলে ম্যাকগ্রির কাটব্যাক থেকে দারুণ এক হেড দিয়েছিলেন জ্যাক্সন আর্ভিন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাঁর, বারপোস্টে লেগে বেরিয়ে গেলে হতাশ হতে হয় সকারুজদের।

৫০ মিনিটে হার্নান্দেজের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক বাই সাইকেল কিক নিয়েছিলেন জিরু; কিন্তু সেটি অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ১৬ মিনিট পরে গ্রিজমানের গড়ানো শট গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারলেও একেবারে গোলমুখ থেকে ঠেকান এক ডিফেন্ডার। যাহোক, পরের মিনিটেই ব্যবধান বাড়ায় ফ্রান্স। উসমান দেম্বেলের নিখুঁত এক ক্রস থেকে দর্শনীয় হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপে (৩-১)।

৭১ মিনিটে এমবাপেই গোল করান। ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে তাঁর দেওয়া ক্রস থেকে দারুণ হেডে বল জালে পাঠান জিরু (৪-১)।

নির্ধারিত সময়ে শেষ মিনিটে কোনাতের হেড অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষক ম্যাট রায়ান না ঠেকালে ব্যবধানটা আরও বাড়তে পারতো।

Loading...