পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার প্রকাশিত পর থেকেই শুরু হয়েছিল জোর বিতর্ক। এতে, তাঁর বিরুদ্ধে “উপযুক্ত পদক্ষেপ” নেওয়ার কথাও জানিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাতে ধারণা করা হচ্ছিল, ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে পর্তুগিজ মহাতারকার সম্পর্কের অবসান হতে চলেছে। শেষ পর্যন্ত হলোও সেটিই।
ম্যান ইউনাইটেড মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) তাঁদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে সিআর সেভেন-এর ক্লাব ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত এসেছে বলে উভয় পক্ষ পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেটা কার্যকর করার কথাও জানিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
ইউনাইটেডের দেওয়া বিবৃতিতে ৩৭ বছর বয়সী রোনাল্ডোর ওল্ড ট্র্যাফোর্ড থেকে বিদায় নেওয়ার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো পারস্পরিক সমঝোতায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়তে যাচ্ছেন, (যা) অবিলম্বে কার্যকর (হবে)।
পাঁচবারের ব্যালন ডি'অরজয়ী এই ফরোয়ার্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সফল ক্লাবটি, “ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দুই দফায় তাঁর অপরিসীম অবদানের জন্য তাঁকে ক্লাব ধন্যবাদ জানাচ্ছে। ৩৪৬ ম্যাচে ১৪৫ গোল করেছেন তিনি। তাঁর ও তাঁর পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গল কামনা করা হচ্ছে।”
ম্যানইউ আরও বলেছে, “ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সবাই (কোচ) এরিক টেন হাগের অধীনে দলের অগ্রগতি অব্যাহত রাখার এবং মাঠে সাফল্যের জন্য একসঙ্গে কাজ করার দিকে মনোনিবেশ করছে।”
কয়েক দিন আগে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে দেওয়া রোনাল্ডোর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হলে ফুটবলবিশ্ব উত্তাল হয়ে পড়ে। কাতার বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিজ ক্লাব ইউনাইটেডের কোচ টেন হাগকে নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন রোনাল্ডো। এই ডাচ কোচ তাঁকে সম্মান করেন না, তাই রোনাল্ডোও তাঁকে সম্মান করেন না বলে জানান তিনি। ওই সাক্ষাৎকারের পর নড়েচড়ে বসে ক্লাবটি।
ইউনাইটেডে প্রথম দফায় ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন রোনাল্ডো। এরপর স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে আলো ছড়িয়ে ইতালিয়ান ক্লাব ইউভেন্টাসে যোগ দেন ২০১৮ সালে। সেখানে তিন মৌসুম খেলে গত বছর ম্যানইউতে ফেরেন রোনাল্ডো। যাহোক, বিতর্কের জেরে দ্বিতীয় দফায় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে লম্বা সময় ধরে খেলা হলো না তাঁর।