আর্সেনালের গোলরক্ষক ডেভিড রায়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এবারের মৌসুমের ‘গোল্ডেন গ্লাভ্স’ পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি চলতি মৌসুমে ২৯টি লিগ ম্যাচের মধ্যে ১৪টিতে কোনো গোল হজম করেননি। এভারটনের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের সুযোগ ছিল – শুক্রবার (৩ মে) একমাত্র গোলরক্ষক হিসেবে রায়াকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। কিন্তু এদিন ম্যাচের ৩১ মিনিটে এলিজাহ আদেবায়োর গোলে লুটন টাউন ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র করে; ফলে, পিকফোর্ডের পক্ষে এই পুরস্কার জয় করা সম্ভব হয়নি। ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক পিকফোর্ড এখনো রায়ার চেয়ে দুই গোলে পিছিয়ে রয়েছেন; হাতে রয়েছে আর মাত্র দুই ম্যাচ। পিকফোর্ড হয়তো সর্বোচ্চ রায়ার সমানে সমান হয়ে মৌসুম শেষ করতে পারেন। খবর – আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের।
স্প্যানিশ গোলরক্ষক রায়া যখন গত অগাস্টে ধারে ব্রেন্টফোর্ড থেকে আর্সেনালে ধারে এসেছিলেন, তখন অনেকেই তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সে-সময় দলটিতে ছিলেন পরীক্ষিত গোলরক্ষক অ্যারন রাম্সডেল। রামসডেল গত মৌসুমে আর্সেনালের সবক’টি ম্যাচেই খেলেছেন। তিনি ১৪টি ম্যাচে গোল হজম করেননি।
রায়ার সাথে চুক্তির পরে স্পোর্টস রিডার্সদের এক ভোটে ৬৩ শতাংশ সমর্থক বলেছিলেন, আর্সেনালের উচিত – রায়ার পরিবর্তে রাম্সডেলকে প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে নির্বাচন করা। যাহােক, রায়া-ই শেষ পর্যন্ত সেই জায়গা দখল করেন।
রায়া অবশ্য মৌসুমের শুরুতে নিজেকে খুব একটা মেলে ধরতে পারেননি। ‘দি গানার্স’ ডিসেম্বরে অপেক্ষাকৃত খর্বশক্তির লুটনের সাথে কোনোমতে ৪-৩ গোলে জেতে। দলটিকে ঐ ম্যাচে রায়ার দুই ভুলে দুই গোল হজম করতে হয়েছিল। তবে, রায়া গত মার্চে পোর্তোর বিপক্ষে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় দুইটি স্পট কিক রুখে দিয়ে আর্সেনালকে শেষ আট-এ উত্তরণে সহায়তা করেছিলেন।
রায়া সেপ্টেম্বরে আর্সেনালের হয়ে দু’টি লিগ ম্যাচ খেলতে পারেননি। সে-সময় রাম্সডেল দু’টি ম্যাচেই দায়িত্ব পেয়েছিলেন। আর্সেনাল প্রথম ম্যাচ ১-০ ও দ্বিতীয়টি ২-১ গোলে জিতেছিল।