loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • সচিবদের দ্রুত সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

  • বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

  • পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সা.) ১৬ সেপ্টেম্বর

  • প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ

  • এটুআই-এর অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিতে বললেন নাহিদ ইসলাম

ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবির সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী


ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবির সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সমুদ্রসীমা থেকে প্রতিটি সম্পদ আহরণের পাশাপাশি সুনীল অর্থনীতি (ব্লু ইকোমনি) বাস্তবায়নে সহযোগিতা চেয়েছেন। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াং মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবন কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এই সহযোগিতা চান। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাক্ষাতের পরে সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনা এডিবি’র কাছে কৃষি গবেষণায় সহায়তা চেয়েছেন, যদিও বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রে ভালো করছে এবং দেশে অনেক ভালো গবেষক রয়েছেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

বাংলাদেশের জনগণের মাথা পিছু আয় এবং ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে বিশেষ করে আমাদের নিজস্ব পণ্যের বড় বাজার হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”

প্রধানমন্ত্রী কৃষিপণ্য উৎপাদনের ওপর জোর দেন বলে তিনি উল্লেখ করেন যে, খাদ্য-নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অগ্রাধিকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কৃষিকে অর্থনীতির মেরুদন্ড হিসাবে বিবেচনা করি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য। এর সাথে শিল্পায়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। কৃষিকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখে আমরা শিল্পায়নের পক্ষে’।

শেখ হাসিনা ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে স্নাতক হওয়ার পর বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার সক্ষমতা শক্তিশালী করতে এডিবি-এর কাছে লজিস্টিক সহায়তাও চেয়েছেন। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে উন্নীত করতে সরকারের বিভিন্ন স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচির বর্ণনা দেন।

এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সরকারের লক্ষ্য সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেন, হতদরিদ্রের অবসান ঘটানো এবং ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের মর্যাদায় উন্নীত করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে দারিদ্র্য দূর করা।

তিনি এডিবিকে নদীর সরবরাহ, ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং সহ সমন্বিত নদী ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে বলেন।

এডিবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এডিবি নগর ও পানি নীতিতে তাঁদের সহায়তা মোট সহায়তার ১৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২৬ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন যে, এডিবি বৃহত্তর ক্ষেত্রে কৃষি গবেষণায় সহযোগিতার পাশাপাশি স্বাস্থ্য প্রকল্প এবং ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায়। তিনি বলেন, এডিবি তাঁদের নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায়।

ভাইস-প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, এডিবি বিদ্যমান সম্পদের আরও ভালো ব্যবহারে বাংলাদেশের জন্য একটি সিটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে চায়। এ-প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশের উপজেলাগুলো বিবেচনা করতে বলেন। কারণ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।

Loading...