বিমসটেক-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান জোরদার করতে ভৌত, সামুদ্রিক ও ডিজিটাল যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ)’র বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রথম বৈঠকে এটি পর্যবেক্ষণ করা হয়। বিমসটেকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ-তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্করের সভাপতিত্বে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, ভুটান ও নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি ও মিয়ানমারের প্রতিনিধি ও বিমসটেক-এর মহাসচিব অংশ নেন।
বৈঠকে স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং জ্বালানি খাতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। সদস্য দেশগুলো সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ অন্বেষণের ওপরও জোর দিয়েছে। সদস্য দেশগুলো বিমসটেক সেন্টার অফ এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
বিমসটেক-এর মধ্যে সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে এবং আসন্ন লিডার্স সামিটের জন্য প্রস্তুতি নিতে একটি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে সভাটি শেষ হয়।
বিমসটেক বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের সাতটি দেশ নিয়ে গঠিত। দেশগুলো হলো – বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ড। এটি সাতটি বিস্তৃত খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা অনুসরণ করে। খাতগুলো হলো – কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, সংযোগ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, নিরাপত্তা ও বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন।
সহযোগিতার মধ্যে আটটি উপখাত রয়েছে। এগুলো হলো – সামুদ্রিক অর্থনীতি, পার্বত্য অর্থনীতি, শক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়ন।
