চারজন গুণী শিল্পী – বুলবুল ইসলাম, লাইসা আহমদ, শারমিন সাথী ইসলাম ও এ টি এম জাহাঙ্গীর সুরের মূর্ছনায় মুগ্ধ করলেন চট্টগ্রাম নগরীর প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আসা দর্শকেদের। শনিবার (২৭ অগাস্ট) সন্ধ্যায় এই শিল্পীদের গান শুনতে ভিড় করেছিলেন বেশ কিছু সংখ্যক সংগীতপ্রেমী। ‘এই লভিনু সঙ্গ তব’ শীর্ষক মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, চট্টগ্রাম শাখা।
অনুষ্ঠানে কথামালায় অংশ নেন, পরিষদের চট্টগ্রামের আহ্বায়ক শিক্ষাবিদ অনুপম সেন, শিল্পী বুলবুল ইসলাম ও সদস্য সচিব শ্রেয়সী রায়। অতিথিরা বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের প্রেরণার উৎস। বাঙালির প্রেম ও বিরহের কবি রবিঠাকুরের সঙ্গে নিত্য ওঠাবসা আমাদের। বাঙালি সাংস্কৃতির জাগরণের জন্য রবীন্দ্রচর্চার বিকল্প নেই। যুগে যুগে নানা আন্দোলন সংগ্রামে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশের মতো কবিরা আমাদের প্রেরণা জুগিয়েছেন।
এর আগে, শনিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই চারজন শিল্পীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্র সংগীত প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অধ্যাপক অনুপম সেন বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তাঁদের মতো সাহিত্যিকদের কারণে প্রতিটি জাতি তাঁদের পরিচয় তুলে ধরতে পারেন। যেমন – ইংরেজরা শেক্সপিয়রের কারণে নিজেদের অনন্য মর্যাদায় নিয়ে গেছেন; এভাবেই রবীন্দ্রনাথ বাঙালির অনন্য সম্পদ হিসেবে থাকবেন।
কিশোর বিভাগ ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সীরা এবং সাধারণ বিভাগে ১৬ থেকে তদূর্ধ্ব শিল্পীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।
– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
