loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ৪৬তম বিসিএস-এর প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১০৬৩৮

  • নাটোরে দেশের প্রথম জিআই পণ্য মেলা

  • বায়ার্নের স্বপ্ন ভেঙে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল

  • পিএসজিকে স্তব্ধ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ডর্টমুন্ড

  • নারী টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে স্কটল্যান্ড

সেনাবাহিনীকে সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান


সেনাবাহিনীকে সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এর নেতৃত্ব যোগ্য ও দেশপ্রেমিক অফিসারদের হাতে ন্যস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেনাবাহিনীকে সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। এজন্য এর নেতৃত্ব যোগ্য ও দেশপ্রেমিক অফিসারদের হাতে ন্যস্ত করতে হবে।”

শেখ হাসিনা রোববার (১৬ জুন) ঢাকা সেনানিবাসে সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১৯ এর সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ-কথা বলেন। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ-বিষয়ে অবহিত করেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন নির্বাচনী পর্ষদ পদোন্নতির জন্য এমন সেনা কর্মকর্তাদের সুপারিশ করবে যাঁদের দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস, নেতৃত্বের যোগ্যতা, পেশাগত দক্ষতা, শৃঙ্খলা, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য রয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা উন্নত ও পেশাদার সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ১৯৭৪ সালেই প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। সেই আলোকেই বর্তমান সরকার একটি শক্তিশালী সশস্ত্রবাহিনী গড়ে তোলার জন্য ‘আর্মড ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করেছে।

এ-প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই প্রথম ব্যক্তি - যিনি এই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেই এ-দেশ শাসন করেছেন। এর আগে যাঁরা শাসন করেন তাঁদের কারোই জন্ম এ-দেশে নয়।

প্রধানমন্ত্রী ও জাতির পিতার বড় মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েই পরিচালিত হচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার জন্যই তাঁর সরকার নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছে, যেখানে কেউ আর ক্ষুধার্ত থাকবে না।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তাঁকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হুসেইন ভূঁইয়া ও সশস্ত্রবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান এ-সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সেনাবাহিনীর উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের জন্য সবধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, সশস্ত্রবাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে এখন ‘আর্মড ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তাঁর সরকার শাসক হিসেবে নয়, জনগণের সেবক হিসেবে দেশ পরিচালনা করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী না, দেশের সেবক মনে করি।”

উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়াকে একটি অর্জন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ৮.১৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। আমরা আগামী দিনগুলোতে ডবল ডিজিট জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবো।” 

“মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়ে গেলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরও বৃদ্ধি পাবে।”

তিনি বলেন, সরকার ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৫ লাখ, ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বিশাল বাজেট প্রণয়ন করেছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। এছাড়াও সরকার তাঁর দূরদর্শী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিরোধীদলে থাকার সময় থেকেই খাতভিত্তিক উন্নয়নের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম।”

তিনি বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাজেট থেকে দেশের জনগণ উপকৃত হবে। তিনি ক্রমবর্ধমান জিডিপি প্রবৃদ্ধির সাথে মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “অতীতের বাজেটগুলোতে সবসময়ই পাঁচ শতাংশ ঘাটতি দেখা গেছে এবং এটা কখনোই মাত্রা অতিক্রম করেনি।”

এ-পর্যন্ত পাঁচ কোটি মানুষ সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচির অন্তর্ভূক্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করায় মানুষ দারিদ্রসীমার নিচ থেকে উঠে আসছে।

নারী ক্ষমতায়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে। সম্প্রতি সৌদি আরবের মক্কায় ওআইসি’র চতুর্দশ সম্মেলনে আমাদের নারী ক্ষমতায়ন পরিস্থিতির প্রশংসা করা হয়েছে।”

নিজদেশে ফেরার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পেছনে আমার দেশের জনগণের ওপর আস্থাই ছিল মূল চালিকা শক্তি। আমি যখন ফিরে আসি তখন দেশে বৈরী পরিবেশ বিরাজ করছিল। ১৯৭৫ সালের পর ১৯টি ক্যু প্রচেষ্টা হয়েছিল।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন আমি দেশে ফিরি মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব ছিল। কিন্তু দেশে এখন সেই পরিস্থিতি নেই।”

Loading...