loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজি জিতলো আত্মঘাতী গোলে

  • ১৯৯০ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা সালভাতোরে স্কিলাচির আর নেই

  • চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেকর্ড গড়ে জাগ্রেবকে হারিয়েছে বায়ার্ন

  • কৃষি গবেষণা নিয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের সাত উদ্যোগ

  • ডিআইআইটি শিক্ষার্থী’র উদ্ভাবন অত্যাধুনিক অ্যাপ ‘বাজারদর’

এমবাপে নিষ্প্রভ, বছরের শুরুতে পিএসজি’র পরাজয়


এমবাপে নিষ্প্রভ, বছরের শুরুতে পিএসজি’র পরাজয়

লিওনেল মেসি ছুটি কাটিয়ে এখনও ক্লাবে ফেরেননি। নেইমার আগের ম্যাচে স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে লালকার্ড দেখায় খেলার সুযোগ ছিল না তাঁরও। সেই সঙ্গে, কিলিয়ান এমবাপে প্রায় নিষ্প্রভ থাকায় নতুন বছরের প্রথম দিন মাঠে নেমে মােটেই সুবিধা করতে পারেনি লিগ ওয়ান-এর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ফ্রান্সের লিগে চলতি মৌসুমে দলটিকে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ দিলো লেঁস।

ক্রিস্টোফ গাল্টির শিষ্যরা ২০২৩ সালের প্রথম দিন প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-১ গোলে পরাস্ত হয়েছেন। ফলে, জমে উঠেছে শিরোপা-লড়াই। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ এই দুই ক্লাবের ম্যাচে পিএসজি’র সুযোগ ছিল ব্যবধান বাড়িয়ে ১০ করার। যাহােক, সেটা হয়নি; বরং হেরে যাওয়ায় পয়েন্টের ব্যবধান কমে চার হয়েছে।

এদিন ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল পিএসজি (৬০ শতাংশ)। গোলমুখে দলটির নেওয়া ১৬ শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল চারটি। অন্যদিকে, স্বাগতিক ক্লাব তাঁদের ১০ শটের মধ্যে চারটি শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে।

পিএসজি’র দুই মহাতারকা – মেসি ও নেইমার না থাকায় এদিন দায়িত্ব বেশি ছিল কাতার বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা কিলিয়ান এমবাপের। কিন্তু, তিনি ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। গত বুধবার স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জেতালেও এবার আর পারেননি। সতীর্থদের কাছ থেকে যেমন সহায়তা পেয়েছেন হাতেগোনা, তেমনি নিজেও স্বভাবসুলভ দুর্দান্ত একক নৈপুণ্য প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

এক মিনিট ধরে হাততালি দিয়ে প্রয়াত কিংবদন্তি পেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হওয়া ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোল হজম করে বসে পিএসজি। মাসাদিয়ো হায়দারার শট গোলরক্ষক জানলুইজি ডোনারুমা পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বল পেয়ে অরক্ষিত শেমেসোয়াফ ফ্রাঙ্কোভস্কি অনায়াসে বল জাল স্পর্শ করেন (১-০)।

অবশ্য তিন মিনিটের মধ্যে সমতায় ফেরে সফরকারী দল। নর্দি মুকিয়েলের বাড়ানো বলে হাত লাগিয়েছিলেন গোলরক্ষক ব্রাইস সাম্বা। তবে, তিনি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগেই সুযোগ বুঝে লক্ষ্যভেদ করেন হুগো একিতিকে। লেঁসের খেলোয়াড়রা বিরোধিতা করলেও ভিএআর-এর সিদ্ধান্তে বহাল থাকে গোলটি (১-১)।

২৮তম মিনিটে ফের পাল্টা আক্রমণে এলোমেলো হয়ে পড়েন এমবাপেরা। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে সেকো ফোফানা সামনে পাস করেন; সেটি ডি-বক্সে এগিয়ে আসা ডোনারুমাকে ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন লোইস ওপেন্দা (২-১)। 

এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লেঁস।

ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে থাকা পিএসজি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার ধাক্কা খায়। ৪৭তম মিনিটে ডানিলো পেরেইরার দুর্বল পাসে ডি-বক্সের প্রান্তে বল হারান মার্কো ভেরাত্তি। সুযোগসন্ধানী ওপেন্দা ব্যাক হিলে খুঁজে নেন অ্যালেক্সিস ক্লদ মরিসকে। প্রথম ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শটে জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি (৩-১)।

বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করেও আর গোল পায়নি পিএসজি। ৫৫তম মিনিটে আশরাফ হাকিমির দূর থেকে নেওয়া শট রুখে দেন সাম্বা। আট মিনিট পরে এমবাপের শটও তাঁকে পরাস্ত করতে পারেনি। ৭৪তম মিনিটে আবারও লেঁসের ত্রাণকর্তা তাঁদের গোলরক্ষক; পাবলো সারাবিয়ার হেড দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন তিনি।

১৭ ম্যাচে ১৪ জয় ও দুই ড্রয়ে পিএসজি’র পয়েন্ট ৪৪। সমান-সংখ্যক ম্যাচ খেলে ১২ জয় ও চার ড্রয়ে লেঁসের সংগ্রহ ৪০ পয়েন্ট। মার্শেই ও মোনাকো ৩৩ পয়েন্ট করে নিয়ে গোল পার্থক্যে যথাক্রমে – তিন ও চার নম্বরে রয়েছে।

Loading...