জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ, এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। এরশাদের রেখে যাওয়া নির্দেশনামতোই জাতীয় পার্টি চলবে। তাই, দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তবে, এক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হলে পার্টি সংস্কার করতে দ্রুত কাউন্সিল শেষ করতে হবে। জাতীয় পার্টির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গুলশানের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সোমবার (২৭ মার্চ) বিকেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
রওশন এরশাদ বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে নয় মাসের মুক্তি সংগ্রামে লাখ শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয় লালসবুজের সার্বভৌম বাংলাদেশ। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর স্বাধীনতাযুদ্ধ বাঙালির এক গৌরবগাঁথা, অহংকার। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ বিবর্ণ সময় অতিক্রম করে এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত।
রওশন এরশাদ আরও বলেন, রমজানের পরে জাতীয় পার্টি ব্যাপক সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে। সেজন্য, জেলা পর্যায়ের নেতৃত্ব এখনই ঠিক করতে হবে। যাঁরা নির্দেশনা মানবেন না, তাঁরা পার্টি ও নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন। নতুন পুরাতন নবীন প্রবীণ সবত্যাগী নেতাকর্মীদের একসঙ্গে নিয়েই দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে পার্টি শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মূল শর্ত হচ্ছে – নির্বাচন। যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে। সাংবিধানিক ধারা মেনেই হবে সেই নির্বাচন। জাতীয় পার্টি বরাবরই নির্বাচনমুখী দল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পার্টি সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি। তাই, ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে হবে। দলকে তৃণমূল পর্যায়ে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। তাই, এখন থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ নিজ আসনে গণসংযোগ শুরু করতে হবে। এজন্য সর্তকতার সঙ্গে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, এমপি, সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলন, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু প্রমুখ।
