বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এবার মূল অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত নওগাঁর পতিসরের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে। অনুষ্ঠানটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। জাতীয় ও জেলা পর্যায়ের শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে সাংস্কৃতিক আয়োজন। পতিসরে মূল আয়োজনের বাইরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় বিশ্বকবির ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এ-উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
সোমবার ২৫শে বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী। বাংলা ১২৬৮ সনের ২৫ বৈশাখ (১৮৬১ সালের ৭ মে) কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে তাঁর জন্ম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু বাংলা সাহিত্যের এক প্রাণপুরুষ নন, জাতীয় সংকট বা উৎসবসহ প্রতিটি আয়োজনে তাঁর সৃষ্টিকর্ম হয়ে উঠেছে নির্ভরতার জায়গা। তাঁর জন্মদিন তাই উদযাপিত হয় বাংলাজুড়ে।
বিশ্বদরবারে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে মর্যাদার আসনে বসানো কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ে পালন করা হয়ে থাকে। দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও নানা আয়োজনে মেতে ওঠে; এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপনে প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। এবার রবীন্দ্রজন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে – ‘সমাজ সংস্কার ও রবীন্দ্রনাথ’।
রবীন্দ্রনাথ প্রেম-প্রীতি আর মানুষের বিবেক ও মানবতাবোধকে জাগানোর কথা বলেছেন। মানবিক আবেগ, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা, অভিব্যক্তির অতুলনীয় প্রকাশ ঘটেছে তাঁর রচনায়। বাঙালির সব আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর গান, কবিতা জুগিয়েছে সাহস ও প্রেরণা।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবার রবীন্দ্রজন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত নওগাঁর পতিসরে। এছাড়া, জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহ্জাদপুর, এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এ-উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবির চিত্রশিল্প প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা একাডেমিও আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
শিল্পকলা একাডেমির আয়োজন:
বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমি আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রশিল্প প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিয়েছে। আজ সন্ধ্যা সাতটায় সেগুনবাগিচায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে রয়েছে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একই সঙ্গে, শিলাইদহ, শাহজাদপুর, পতিসর, দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে ‘রংতুলিতে বিশ্বকবি’ শিরোনামে আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলা একাডেমি:
সোমবার সকাল ১১টায় বাংলা একাডেমিতে রয়েছে একক বক্তৃতা, রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৩ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ছায়ানট:
রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে ছায়ানট দুই দিনের রবীন্দ্র-উৎসব আয়োজন করেছে। সোমবার ও মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় ছায়ানট মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান শুরু হবে। এই অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত।