সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলাল শীর্ষ লিগে খেলা কোনো দলের টানা সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়লো। জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগে আল ইত্তিহাদকে ২-০ গোলে হারিয়ে টানা ২৮ ম্যাচ জয়ের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে দলটি। তাঁরা দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলের জয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই ক্লাব প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালেও উঠলো। ফিরতি লেগে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোল করেছেন আল হিলালের আল শাহরানি ও ম্যালকম।
সৌদি প্রো লিগে গত শুক্রবার আল হিলাল মাঠে নামার আগপর্যন্ত রেকর্ডটি ওয়েল্স-এর ক্লাব দি নিউ সেইন্টস-এর দখলে ছিল। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে ইয়োহান ক্রুইফ-ইয়োহান নিসকেন্সদের সেই আয়াক্সের গড়া টানা ২৬ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ২০১৬-১৭ মৌসুমে ভেঙে দেয় সেইন্টস।
ওয়েল্স-এর শীর্ষ ঘরোয়া লিগের ক্লাবটি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে জিতেছিল টানা ২৭ ম্যাচ। গত শুক্রবার সৌদি প্রো লিগে আল রিয়াদকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেইন্টসের রেকর্ডে ভাগ বসায় আল হিলাল। পরের ম্যাচেই, অর্থাৎ মঙ্গলবার আল ইত্তিহাদকে হারিয়ে রেকর্ডটি নিজেদের দখলে নিলো এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে সফল এই ক্লাব।
চারবারের চ্যাম্পিয়ন আল হিলাল সেমিফাইনালে আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইনের মুখোমুখি হবে।
আল হিলাল গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী দামাক-এর বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। পর্তুগিজ কোচ হোর্হে জেসুসের দলটি এরপর থেকে সব ম্যাচই জিতেছে। সৌদি লিগে ১৬ ম্যাচ, কাপ প্রতিযোগিতায় তিন ম্যাচ এবং এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা নয় ম্যাচ জিতলো আল হিলাল।
এই জয়যাত্রায় দুই ম্যাচে মাঠে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। তিনি গত বছর সেপ্টেম্বরে আল শাবাব ও নাসাজি মাজানদারানের বিপক্ষে খেলেছিলেন। এরপর গত বছর অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে পায়ে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েছিলেন। সেই চোট কাটিয়ে গত মাসে সৌদি ক্লাবটিতে ফিরেছেন নেইমার। অবশ্য, এখনো মাঠে নামা হয়নি তাঁর।
সেমিফাইনালে ওঠার পরে বিশ্বরেকর্ড নিয়ে আল হিলাল কোচ জেসুস বলেছেন, ‘এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য অর্জন। ক্লাবের সবাইকে ধন্যবাদ। তবে আগেই বলেছি, রেকর্ডের চেয়ে ট্রফি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই মৌসুমে আমাদের সৌদি লিগ এবং অন্যান্য কাপ জয় ক্লাবের সবার ওপর নির্ভর করছে।’