loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ফরেস্টকে হারিয়ে সিটির শিরোপা আশা উজ্জ্বল

  • মোনাকোর পরাজয়ে পিএসজি লিগ চ্যাম্পিয়ন

  • ভারতের বিপক্ষে হেরে টাইগ্রেসদের সিরিজ শুরু

  • এফবিসিসিআই ফ্রান্সের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে আগ্রহী

  • আবারও ৭২ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি

ইন্টার মিলানের বিদায়, শেষ আটে অ্যাটলেটিকো


ইন্টার মিলানের বিদায়, শেষ আটে অ্যাটলেটিকো

জান অব্লাক টাইব্রেকারে পরপর দু’টি শট আটকে দিয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে সুবিধাজনক অবস্থায় রেখেছিলেন। সমীকরণ দাঁড়িয়েছিল এমন – ইন্টার মিলান পঞ্চম শট মিস করলেই জিতবে অ্যাটলেটিকো। লাউতারো মার্টিনেস সেই শেষ শট নিতে এসে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের শট চলে যায় ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে। ম্যাচ জিতে যাওয়ায় দৌড়ে উদযাপন না-করে ডি বক্সেই দাঁড়িয়ে হাসছিলেন অব্লাক; এই গোলরক্ষক হয়তো ভাবেননি – মার্টিনেসের শট এভাবে উড়ে চলে যাবে। টাইব্রেকারে ইতালির ক্লাবটির বিপক্ষে অ্যাটলেটিকোর জয় ৩-২ গোলে। ফলে, দিয়েগো সিমিওনের দল পৌঁছে গেলো ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে। পক্ষান্তরে, গতবারের রানার-আপ ইন্টারের যাত্রা এবার থামলো শেষ ষোলোয়ই।

স্বাগতিক অ্যাটলেটিকো প্রথম লেগ ইন্টারের মাঠ থেকে ১-০ গোলে হেরে আসায় ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানে ফিরতি লেগে দুই গোলে জিততে হতো। এই লক্ষ্যে খেলতে নামলেও শুরুতে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে দলটি। ইন্টার ৩৩ মিনিটে ফেদেরিকো ডিমার্কোর গোলে এগিয়ে যায়। নিকোলা বারেল্লার কাটব্যাকে অনায়াসে জাল খুঁজে নেন ইতালিয়ান এই ফরোয়ার্ড।

যাহােক, অ্যাটলেটিকোর ম্যাচে ফিরতে লেগেছে মাত্র দুই মিনিট। দারুণ আক্রমণে গিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আঁতোয়ান গ্রিজমান।

দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে থাকায় ইন্টার দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণাত্নক কৌশল বেছে নেয়। তবে অ্যাটলেটিকো গোলের জন্য উন্মুখ হয়ে ছিল। কোচ দিয়েগো সিমিওনে একাধিক খেলোয়াড় বদলি করেন। বদলি হিসেবে নামার মিনিট কয়েক পরেই আশাহত হন মেম্পাস ডিপাই; তাঁর তীব্র শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। অবশ্য, একটু পরেই স্বাগতিক দর্শকদের আনন্দে ভাসান ডাচ এই ফরোয়ার্ড। ৮৭ মিনিটে কোকের বাড়ানো বল পেয়ে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠিয়ে ম্যাচ নিয়ে যান অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়েও খেলা গড়াতো-না, যদি না যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে অ্যাটলেটিকোর রদ্রিগো রিকেল্মে সহজ সুযোগ নষ্ট না-করতেন। বক্সে বল পেয়েও তাঁর শট চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে। ডাগআউটে সিমিওনের প্রতিক্রিয়াই বলে দেয় – এমন মিসের পর কতটা হতাশ হয়েছেন তিনি!

অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটেও সমতা থাকায় ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই বাজিমাত করে কোয়ার্টার-ফাইনালে পা দেয় স্পেনের ক্লাবটি।

Loading...