loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ফরেস্টকে হারিয়ে সিটির শিরোপা আশা উজ্জ্বল

  • মোনাকোর পরাজয়ে পিএসজি লিগ চ্যাম্পিয়ন

  • ভারতের বিপক্ষে হেরে টাইগ্রেসদের সিরিজ শুরু

  • এফবিসিসিআই ফ্রান্সের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে আগ্রহী

  • আবারও ৭২ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি

রাজধানীতে পাহাড়ি প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’


রাজধানীতে পাহাড়ি প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’

পাহাড়ি প্রাণের উৎসব বৈসাবি প্রতিবছরের মতো এবারো বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.মশিউর রহমান শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব-২০২৪ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ-সময় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীতে বসবাসরত পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাহারি সাজে সজ্জিত হয়ে বৈসাবি উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবছর এই উৎসবের আয়োজনকারী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বৈসাবি উৎসব র‌্যালিতে অংশ নেন।

র‌্যালিটি সকাল নয়টায় ঢাকার বেইলি রোডে অবস্থিত শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র হতে শুরু হয়ে বেইলি রোড ও রমনা পার্কের ভিতর দিয়ে প্রদক্ষিণ করে পার্কের লেকের প্রান্তে গিয়ে শেষ হয়। পরে, দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রমনা লেকের পানিতে নর-নারী ও শিশুরা ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়ে এই উৎসব শেষ হয়।

সচিব বলেন, পার্বত্য তিন জেলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করা এবং ব্যাপক প্রচার ও প্রসার ঘটানোসহ পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার একটি অন্যতম অংশ হলো এই ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব। এখানে তিন পার্বত্য জেলার ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ফুটে ওঠেছে। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠান এবং সংস্কৃতির অবস্থাকে তুলে ধরতে প্রতিবছর এই আয়োজন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানগুলো রাজধানীবাসীসহ সারাদেশে পরিচয় করিয়ে দিতেই ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই কেন্দ্রের প্রধান কাজ হলো – পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগুলোর গবেষণা ও সংরক্ষণ করা।

বৈসাবি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্বত্যবাসীদের মধ্যে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ, শ্রদ্ধাবোধ ও আস্থা আরও সুদৃঢ় হচ্ছে – যার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান শান্তি অব্যাহত থাকবে এবং দেশের উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করছি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল করিম, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা পিপিএম (বার) উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বৈসাবি হলো বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সমাজের বর্ষবরণ উৎসব। এটি তাঁদের অন্যতম প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠান। এই উৎসবটি  ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুব, বৈসু বা বাইসু, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত। বৈসাবি নামরকরণও করা হয়েছে এই তিনটি উৎসবের প্রথম অক্ষরগুলো নিয়ে।

Loading...