loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ইতালিয়ান কাপের শিরোপা জিতলো ইউভেন্টাস

  • ইউরোপের খেলার আশা টিকিয়ে রাখলো ম্যানইউ

  • মেসিবিহীন ইন্টার মায়ামির গোলশূন্য ড্র

  • অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনে গড় পাসের হার ৩৫.৮০ শতাংশ

  • সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত

ভারতের কাছে টাইগ্রেসদের আবার পরাজয়


ভারতের কাছে টাইগ্রেসদের আবার পরাজয়

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১১৯ (মুরশিদা খাতুন ৪৬, রিতু মনি ২০, সোবহানা ১৯; রাধা যাদব ৩-১৯, দিপ্তি শর্মা ২-১৪, শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ২-২৪)
ভারত ৫.২ ওভারে ৪৭-১ (দায়ালান হেমলতা ৪১*, স্মৃতি মান্ধানা ৫*; মারুফা আক্তার ১-১১)
ফলাফল: বৃষ্টি আইনে ভারত নারী দল ১৯ রানে জয়ী
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে

প্রায় সারাদেশ তখন তীব্র দাবদাহে পুড়ছিল; তবে, সিলেটকে এই তালিকা থেকে আলাদা করাই যায়। বৃষ্টির কাছেই বাধা পড়লো বাংলাদেশ নারী দল ও ভারতের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি। তাতে অবশ্য ফলাফল থেমে থাকেনি। টানা পরাজয়ের মধ্যে থাকা বাংলাদেশ এদিনও সেই বৃত্ত ভাঙতে পারেনি; বৃষ্টি আইনে ভারতের নারীদের কাছে হেরে গেছে ১৯ রানে। স্বাগতিক দল ব্যাটিংয়ে আরও একটি মলিন দিনই পার করেছে। সেটারই মাশুল দিতে হলো এদিন। ভারত বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস পদ্ধতিতে এগিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত জিতেছে ১৯ রানে।

গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের ওপারে চমকে উঠলো মেঘ, বোলিং হচ্ছিল সেই প্রান্তেই। স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে গেলেন আরেক আম্পায়ার মোর্শেদ আলী খানের দিকে। দু’জন আলোচনা করে আবার খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও একটু পরেই নেমে আসা বৃষ্টিতে বন্ধ করে দিতে হলো খেলা। প্রায় পুরো দেশ যখন একটু বৃষ্টির আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনছে, তখন সিলেটে দুই দফা বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হতে পারলো-না সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি। 

ভারত অবশ্য তার আগেই দয়ালান হেমলতার ২৪ বলে ৪১ রানের ইনিংসে কাজটুকু সেরে রেখেছিল। ১২০ রানের লক্ষ্যে ৫.২ ওভারে ৪৭ রান করে ডিএলএস পদ্ধতিতে এগিয়ে থাকা ভারত শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতেছে ১৯ রানে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সফরকারীরা এগিয়ে গেলো ২-০ ব্যবধানে।

প্রথম ইনিংসে বেশ জোরে বৃষ্টি হলেও সঙ্গে রোদও ছিল, মাঠও শুকিয়েছে দ্রুতই। কিন্তু সন্ধ্যায় নামা বৃষ্টি আর থামেনি। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭-৫০ মিনিটের দিকে,। তবে মাঠের ফ্লাডলাইটের বেশির ভাগ নিভে যায় আগেই। মাঠকর্মীরাও জানতেন, খেলা আর সম্ভব হবে-না।

তার আগে ১১৯ রানের সম্বল নিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে শেফালি বর্মাকে আউট করে বাংলাদেশকে উজ্জীবিত করেছিলেন মারুফা আক্তার, কিন্তু ২০২২ সালের অক্টোবরের পরে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা হেমলতার ঝড়ের জবাব ছিল না তাঁদের কাছে।

অবশ্য টস জেতার পর শুরুটা বাংলাদেশের আশাজাগানিয়াই ছিল। সর্বশেষ কয়েকটি ম্যাচে তেমন কিছু করতে না-পারলেও বাংলাদেশের টপ অর্ডার এবার ভালো একটা শুরুই এনে দেয়। তবে মিডল অর্ডারের ধসে ধাক্কা খায় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ওপেনার মুর্শিদা খাতুন আগলে রাখেন এক প্রান্ত, ৪৯ বলে ৪৬ রান করে আউট হন নবম ব্যাটার হিসেবে। তাঁর ইনিংসেই লড়াই করার মতো সংগ্রহ আসে।

পাওয়ারপ্লেতে দিলারা আক্তার ও সোবহানা মোস্তারির উইকেট হারালেও ওঠে ৪৩ রান। এমন শুরুর পর মাঝের ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল জুটি, মুর্শিদা খাতুনের সঙ্গে সেটি গড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন জ্যোতি। কিন্তু সাত বলের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে উল্টো চাপে পড়ে স্বাগতিকেরা। নিগার সুলতানা ও ফাহিমা খাতুন রাধা যাদবের পরপর ২ বলে হন এলবিডব্লিউ, পরের ওভারে শ্রেয়াঙ্কা পাতিলের বলে ক্যাচ তোলেন সুলতানা খাতুন।

১১ ওভার পরে নামা বৃষ্টিতে এরপর বন্ধ হয়ে যায় খেলা। তাতে এক ঘণ্টার একটু কম সময় খেলা বন্ধ থাকলেও ওভার কাটা যায়নি কোনো। সেই বিরতি বাংলাদেশের জন্য হয়ে এসেছে আশীর্বাদ হয়ে। এ ম্যাচে স্বর্ণা আক্তারের জায়গায় দলে আসা রিতু মনি খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। কিন্তু মুর্শিদার সঙ্গে তাঁর জুটিও সেভাবে বড় হয়নি। টাইগ্রেসদের ১৮ রানেই শেষ পাঁচ উইকেট।

ছয় রানে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীতের হাতে জীবন পাওয়া মুর্শিদা রানআউট হন ফ্রি হিটে, শেষ পর্যন্ত তিনি টিকে থাকলে হয়তো আর কিছু রান বেশি হতো। অবশ্য মুর্শিদা সে-পর্যন্ত না-থাকলে তো বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়ে যেত আরও আগেই।

Loading...