বায়ার্ন মিউনিখ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) খেলার শুরুতেই রিয়াল মাদ্রিদের ওপর চড়াও হয়েছেল। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ দিয়ে এগিয়েও যায় বায়ার্ন। তবে সেই স্বস্তি শেষ পর্যন্ত টেকেনি। শেষ দিকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ফলে, ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে জেতেনি কোনো দলই।
বায়ার্ন প্রথম মিনিটেই রিয়ালের রক্ষণভাগ কাঁপায়। কিক অফের পরেই আক্রমণে যায় স্বাগতিকরা।হ্যারি কেইনের পা ঘুরে বল পেয়ে লেরয় সানে গোলের জন্য শট নিলেও তা ফিরে আসে আন্দ্রি লুনিনের গায়ে লেগে। এরপর টমাস টুখেলের দল রিয়ালের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে। হ্যারি কেইন, জামাল মুসিয়ালারা সুযোগ তৈরি করলেও সেগুলো গোলের মুখ দেখছিল না।
রিয়ালও ধীরে সুস্থে খেলার চেষ্টা করে। লস ব্লাংকোরা প্রথম সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২৪ মিনিট আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা স্তব্ধ করে এগিয়েও যায়। টনি ক্রুসের থ্রু পাস অফসাইড ফাঁদ ভেঙে বল পেয় যান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড বায়ার্নের বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়াকে ফাঁকি দিয়ে জাল স্পর্শ করেন।
বায়ার্ন অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ম্যাচে ফিরে আসে। এবার আর ভুল করেননি সানে। ৫৩ মিনিটে বল পেয়ে খানিকটা জায়গা বদল করে বক্সের ওপর থেকে শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। স্বাগতিকরা এর চার মিনিট পরেই এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা হয় । বক্সের ভেতর জামাল মুসিয়ালাকে ফাউল করে বসেন লুকাস ভাস্কেস; হ্যারি কেইন সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন।
স্বাগতিকরা জয়ের আশায় থাকলেও ম্যাচে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা চালায় রিয়াল; সাফল্যও পায় দলটি। ৮৩ মিনিটে বক্সের ভেতরে রদ্রিগোকে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র স্পট কিকে নয়াকে পরাস্ত করেন।
ফলে, রিয়াল প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ড্রয়ের স্বস্তি নিয়েই ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে খেলতে নামবে। ফিরতি লেগ আগামী ৮ মে সান্টিয়াগো বার্নাবিউতে হবে।
