loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • শিল্পকলায় তিনদিনব্যাপী ‘লালন স্মরণোৎসব’

  • দ. আফ্রিকা টেস্টে সাকিবের নাম ঘোষণা; ঢাকায় কোচ ফিল সিমন্স

  • দরিদ্রসীমার নিচের পরিবার পাবে অর্থ ও জীবিকা সহায়তা

  • আদমজী ইপিজেড-এ ৫.৮৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানি

  • বলিভিয়াকে আর্জেন্টিনার ছয় গোল; জিতেছে ব্রাজিলও

জাতীয় সংসদ ভবনে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ উদ্বোধন


জাতীয় সংসদ ভবনে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ উদ্বোধন

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে নির্মিত ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ শীর্ষক প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্থাপিত ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। স্পিকার এ-সময় ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’য় প্রদর্শিত বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন এবং ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’র প্রশংসা করেন। তিনি জাতীয় সংসদে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ স্থাপনের জন্য স্পিকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।  

এ-সময় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো: শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু, হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল, এমপি, হুইপ মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা এবং হুইপ সানজিদা খানম উপস্থিত ছিলেন। পরে, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ জাতীয় সংসদ সদস্যগণ ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ পরিদর্শন করেন।

‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস। এখানে প্রথম কক্ষে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর, খোকা থেকে শুরু হয়ে তারুণ্যে মুজিব ভাই হয়ে ওঠা, ভারত ভাগ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, উত্তাল ভাষা আন্দোলন ও ১৯৫০ এর দশকের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০ এর নির্বাচন পর্যন্ত প্রদর্শিত হয়েছে।

'৭০ এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে দ্বিতীয় কক্ষের ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে গেছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের দিকে। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ, পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী কর্তৃক ২৫ মার্চের গণহত্যা, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অকাতর সংগ্রাম এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগের ধারাবর্ণনা স্থান পেয়েছে এই কক্ষে।

তৃতীয় কক্ষে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের সাথে আরও রয়েছে – বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের পরিচিতি সুসংহত করার স্বর্ণালী ইতিহাস।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সংগ্রামী জীবন ও বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনের কিছু খণ্ডচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। এরপর বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায় – ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থান পেয়েছে।

Loading...